ঢাকা: সদ্য নিয়োগ পাওয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তার আগের তিন আইজিপির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন,পুলিশে যে পরিবর্তনটুকু এসেছে তা শুরু হয়েছে আইজিপি নুর মোহাম্মদের সময় থেকে। পরবর্তী সময়ে হাসান মাহমুদ খন্দকারও এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।এরপর তিন বছর ধরে সফলতার সঙ্গে একেএম শহীদুল হক কাজ করছেন। তিনি আমার ব্যাচম্যাট। আমরা প্রায় ৩২ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করেছি দেশে এবং দেশের বাইরে।
আজ বুধবার (জানুয়ারি ৩১, ২০১৮ ) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ পুলিশের সদ্যবিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ.কে.এম শহীদুল হকের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ এসব কথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এখানে যেসব বক্তা শহীদুল হক সম্পর্কে বলেছেন আরও যদি সময় পাওয়া যেত তাহলে উনার সম্পর্কে আরও বেশি বেশি ভালো কথা শোনা যেতে। পুলিশে যোগদানের পর থেকে প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা আমাদের কাছে কোনো নতুন বিষয় নয়। এ সময় অনুষ্ঠানে নতুন আইজিপি বলেন, আমি সবার কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি। আপনাদের
সহযোগিতা পেলে সাহস পেলে বাংলাদেশ পুলিশ সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছাবে। আমাদের বিদায়ী আইজিপি পুলিশ থেকে বিদায় নিলেও আমাদের মন থেকে বিদায় নেবেন না। তিনি যেখানে থাকেন না কেন তার সহযোগিতার হাত আমাদের দিকে বাড়িয়ে দেবেন। এ সময় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ। তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে আজকে বাংলাদেশ হয়েছে। বিদায়ী বক্তব্যে আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যার জন্ম না হলে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, তিনি যখন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তখন ছিল একটি কঠিন সময়। সেই সময়ে আমি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার প্রিয় কর্মস্থল ছিল ডিএমপি।সেখানকার কমিশনার একটি বিদায়ী অনুষ্ঠান করেছিলেন সেখানে আবেগতাড়িত হয়েছিলাম। শহীদুল বলেন, ৩২ বছর চাকরিজীবনে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। আমরা সন্তুষ্টি ৩২ বছর চাকরি জীবনে পুলিশের চাকরি করে আমি সন্তুষ্ট। আমি কিশোর বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধুর চেতনা নিয়ে চলেছি। সেই চেতনা নিয়েই ৩২ বছর চাকরি করেছি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শে বেঁচে থাকব। চাকরি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের সেবা করতে চাই। শহীদুল হক বলেন, অসাংবিধানিক সরকার যাতে না আসে সেটা প্রতিরোধ করার জন্যই আমরা কাজ করেছি। আগামীতে আমরা চাইব গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। নির্বাচনের বছরে মানুষ যেন তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
আইজিপি একেএম শহীদুল বলেন, আমার চাকরি জীবনে ব্যর্থতার দায়িত্ব আমার, সফলতার দায়িত্ব আপনাদের। আপনারা নতুন আইজিপিকে সহযোগিতা করবেন। আইজিপিকে সহযোগিতা করা মানুষকে সহযোগিতা করা, আইজিপিকে সহযোগিতা করা মানে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করা। শহীদুল বলেন, আমি কাউকে হয়ত ভালো পদোন্নতি দিতে পারিনি। কাউকে ভালো জায়গায় পোস্টিং দিতে পারিনি। সেই জন্য আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। কারণ বাস্তবতাটা বুঝতে হবে। আর সাংবাদিকদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। কারণ চাকরি জীবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্কে ছিল। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। এ সময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এএন্ডও) মোখলেসুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যবিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ.কে.এম শহীদুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নতুন আইজিপি। পরে সদ্যবিদায়ী মহাপরিদর্শক নতুন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।এ সময় বিদায়ী আইজিপিকে ক্রেস্ট উপহার দেন অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান।
মোঃ মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম,
ঢাকা,বুধবার,৩১ জানুয়ারি, এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।