ঢাকা : দুইদিন ব্যাপী ৩৩তম সম্মেলন কনফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসিফিক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (কাসি) এবং দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর যৌথ উদ্যোগে এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষ হলো।
এই শেষ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন
নিজ নিজ দেশের ব্যবসায়ী শীর্ষ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স রাজধানীর ঢাকায় বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে সিএসিসিআই বা কাসি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্মেলন শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে দুই দিনব্যাপী ৩৩তম সিএসিসিআই সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।
এই প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিএসিসিআই সভাপতি মি. সামির মোদি, ভাইস প্রেসিডেন্ট পেডরি কুমার সারেস্টা এবং এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোন্তাকিম আশরাফ।
সিএসিসিআই সম্মেলনে বিটুবি অর্থাৎ বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিগত ১০ বছরের ব্যবসায়িক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া যেসব খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
আগামী বছর বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্মেলন আয়োজন করবে। এর মধ্যে রয়েছে জি৮ সম্মেলন, হালাল ফুড সম্মেলন, কমনওয়েলথ ব্যবসায়িক সম্মেলন, যেখানে ১০৫টি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করবেন।
এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, ব্যবসায়িক সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পণ্যের পরিচিতি বাড়বে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ক্রয় আদেশ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।
সিএসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মি. সামির মোদি জানান, বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে সিএসিসিআই সদস্য হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেশ আশাব্যঞ্জক। এ কারণে আমরা এ দেশে সম্মেলন করার জন্য বেছে নিয়েছি। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সার্কভুক্ত ও আশিয়ান দেশসহ ২৮টি দেশের ব্যবসায়ীদের পারস্পারিক সম্পর্ক বাড়বে, যা ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অংশগ্রহনকারী
দেশগুলো হলো:
Australia, Brunei, Cambodia, Georgia, HongKong, India,Indonesia, Iran, Japan, Korea, Malaysia, Mongolia, Nepal, NewZealand, Pakistan, PapuaNewGuinea, Philippines, Russia,Singapore, SriLanka,Taiwan, Tajikistan, ThaiLand, Turkey, Uzbekistan, and Vietnam.
মোঃ মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম,
ঢাকা ,বুধবার,২৭ নভেম্বর,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।