আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো দেশের সবচেয়ে বড় বসুন্ধরা কোভিড-১৯ আইসোলেশন হাসপাতাল।রোববার (১৭ মে) দুপুরে হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানের উপস্থিতিতে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপ এবং ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, সুষ্ঠুভাবে হাসপাতালটি তৈরি করার জন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে এটিকে হাসপাতাল করার আমাদের যে উদ্যোগ সেটি প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন, এজন্য তাকেও ধন্যবাদ জানাই। এটা যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় এজন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
এসময় সবাইকে সবার পাশে থেকে দেশের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, যে যেভাবে পারুন বাংলাদেশকে সাহায্য করুন। আমরা যেন করোনামুক্ত থাকতে পারি।অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বসুন্ধরার এই আইসোলেশন হাসপাতালের দুই হাজারের বেশি বেডের মাধ্যমে এখন আমাদের কাছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আইসোলেশন বেড প্রস্তুত আছে। এছাড়া অন্য করোনা হাসপাতাল মিলিয়ে শুধু ঢাকাতেই এখন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বেড প্রস্তুত।
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তদের ৮৫ শতাংশই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলার। বাকি ১৫ শতাংশ অন্য সব জেলা মিলিয়ে। করোনা পরীক্ষায় আমরা ৪০টি ল্যাব প্রস্তুত করেছি। আরও ১৫টি ল্যাব প্রস্তুতের কাজ চলছে।
করোনা মোকাবিলায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) সরকারকে অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের স্বনামধন্য একটি গ্রুপ। বাসস্থান থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ওনারা কাজ করেন। দেশের মানুষদের বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছেন। তারা করোনা মোকাবিলায় এভাবে এগিয়ে আসার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সতর্ক করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ আরো বাড়বে।অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যানবাহন থেকে শুরু সব খানে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রিকশা, সিএনজি থেকে জটলা করে করোনা ছড়ায়। ফেরিঘাট, দোকানের সামনে জটলা দেখে আমরা আতঙ্কিত হই। কারণ এতে সংক্রমণ বাড়ে। আর বাড়ছেও। দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রস্তুত হওয়া ২০১৩ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট এবং ৭১ শয্যার আইসিও সুবিধা রেখে হাসপাতালটি রোববার অনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা,রোববার,১৭ মে,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।