জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী। শহীদ শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের এ দিনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক এবং বহুমাত্রিক ও অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী শেখ কামালের লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি, খেলাধুলা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গণেও বিচরণ ছিলো।
তিনি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর খেলাধুলা ও শিল্প-সাহিত্যের প্রসারে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।শেখ কামাল ঢাকার শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।
এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ অনার্স পাশ করেন।বুধবার (৫ আগস্ট) শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্যভাবে পালনের জন্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯- এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে যথাযথ ভূমিকা পালন করেন শেখ কামাল।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে তিনি মুক্তিবাহিনীতে কমিশনন্ড লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথমসারির সংগঠক ছিলেন। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাবির নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তার। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই দেশবরেণ্য অ্যাথলেট ঢাবির ‘ব্লু’ খ্যাতিপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা খুকুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতির পিতাসহ সপরিবারে মানবতার ঘৃণ্য শত্রুদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে তিনিও প্রাণ হারান।
ঢাকা,বুধবার, ০৫ আগষ্ট,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।