যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগামীকাল শনিবার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।রাজধানীতে বাসে আগুনের ঘটনা প্রমাণ করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মূলত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। দীর্ঘদিন পর সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশিরভাগ সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছি। বাকিগুলো দু-একদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। উপনির্বাচন থাকার কারণে কমিটি ঘোষণায় কিছুটা দেরি হয়েছে। শনিবার যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।দলের তৃণমূল সম্মেলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে তৃণমূলের সম্মেলন বিলম্ব হয়েছে। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মেলন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আগামীকাল রাজশাহীর বাগমারায় সম্মেলন হবে। আমি ঢাকায় থেকে সেখানে যুক্ত থাকব। পর্যায়ক্রমে আমরা তৃণমূলের অন্যান্য সম্মেলন করে ফেলব।
বিএনপিকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকালের নাশকতা প্রমাণ করেছে বিএনপি তাদের চিরাচরিত অভ্যাস থেকে সরতে পারেনি। বিএনপির এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, প্রচারণাও চালাবে কিন্তু নির্বাচনের সময় এজেন্ট দেবে না। তাদের কৌশল নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। বিএনপি জানে জনগণের ভোটে তারা জিততে পারবে না। এ উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে পুরনো আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে। আগে যারা আগুন সন্ত্রাস চালাতো তারাই আবার আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে।তিনি বলেন, নিরীহ মানুষের জীবনহানির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা তাদের পুরনো অভ্যাস। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল তাদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এখনো বিএনপি কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক নিয়ম-কানুন বিধি-নিষেধ তোয়াক্কা না করে তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। গতকালের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাদের বলেন, যে কোনো নির্বাচন এলেই বিএনপি হইচই করে মাঠ গরম করে। অথচ ভোটের দিন তাদের আর মাঠে দেখা যায় না। ভোট গণনা শেষে জণগণ প্রত্যাখ্যান করলে বিএনপি নেতারা বলে সরকার কারচুপি করে হারিয়ে দিয়েছে। এটি তাদের পুরনো অভ্যাস।
ঢাকা,শুক্রবার,১৩ নভেম্বর,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।