মাঠের রাজনীতিতে সফলতা না পেয়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে।কোন অপপ্রচার বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া যাবে না বলে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যাগে আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মশালায় যুক্ত হন।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইলে সরকারকে সহযোগিতা করুন। একদিকে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলবেন, অপরদিকে অগণতান্ত্রিক কাজ করলে গণতন্ত্রের শতফুল বিকশিত হওয়ার পথ বিঘ্নিত হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এগিয়ে নিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঠের রাজনীতিতে সফলতা না পেয়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেছে নিয়েছে। তাদের কোনো অপপ্রচার বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে যারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, তাদের বিপক্ষে সবাইকে সত্য প্রচারে গড়ে তুলতে হবে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর্থ-সামাজিকসহ প্রতিটি খাতে অর্জন করে চলছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এসব অর্জনের ধারা বর্ণিল করে তুলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের আইসিটি খাতে ইতোমধ্যেই ঘটেছে নীরব বিপ্লব, রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত জনপদে আজ হাতের মুঠোয় বিশ্ব যোগাযোগের নেটওয়ার্ক।দেশের গণতন্ত্র এখনো বিকাশমান ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে নানান ঘাত-প্রতিঘাতে শিশু গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার পথে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ১/১১ এর স্মৃতি এখনো ভুলে যায় নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে বিএনপি ২০০৬ সালের শেষ দিকে যেনতেন নির্বাচন দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপপ্রয়াস চালায় বিএনপি।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ঘটে যাওয়া গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি বড় ক্ষত তৈরি করা হয়েছিলো উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে জনগণের ভোটাধিকার হরণের অপচেষ্টা এবং একগুঁয়েমির কারণে সৃষ্টি হয়েছিলো এক-এগারো। বাধাগ্রস্ত হয় গণতন্ত্রের চলমান ধারা।তিনি আশাবাদ করে সকলকে দলমত নির্বিশেষে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এগিয়ে নিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল মানুষ পাচ্ছে বলেই বারবার তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছে, তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সরকারের উন্নয়ন কাজের প্রচার অব্যাহত রাখতে এক একজনকে হতে হবে সাহসী সৈনিক বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা,মঙ্গলবার,১২ জানুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।