নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ ঘটনায় ১১জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।গ্রেফতারকৃত হলেন, হাতিয়া উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের জিহাদ(৩০), ফারুক(৩০), নবীর উদ্দিন প্রকাশ হোন্ডা নবীর(৩২), আলোমগীর হোসেন (৪০) ও আবু তাহের (২৭)।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক গৃহবধূ (৩২) জনতা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় ফারুক ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর দিকে টর্চলাইট মারলে সে দৌঁড়ে ওই চিকিৎসকের মুরগির খামারের সামনের একটি ঘরে ঢুকে যান। তখন চিকিৎসক ওই ঘরের ভেতরে ছিলেন।
এসময় ফারুক তার লোকজন নিয়ে ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে চিৎকার করে আরও লোকজন জড়ো করে। ঘরের ভিতরে থাকা ওই চিকিৎসক জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ফারুক, তার লোকজন ও স্থানীয়রা নারীসহ তাকে বাহিরে এনে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধর করে একটি সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার জানান, এলাকার কিছু উশৃঙ্খল বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও একজন গৃহবধূকে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে রোববার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পল্লী চিকিৎসক বাদী ১১ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী,সোমবার,১৮ জানুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।