নির্বাচনের আগের রাতে আসামিরা গোপন বৈঠকে পরিকল্পনা করে ভোটে হেরে গেলেই কাউন্সিলর প্রার্থী তরিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালানো হবে। সেইভাবে প্রস্তুতি নিয়েই পরদিন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন আসামিরা। কাউন্সিলর তরিকুল হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া জাহিদুল ইসলাম (২০) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এমন তথ্য দিয়েছে।শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম এতথ্য জানান। বার বার পরাজিত হওয়ায় অপর প্রার্থী ও মামলার প্রধান আসামি শাহাদত হোসেন বুদ্দিন এবং তার সমর্থকরা এ পরিকল্পনা করে বলে জানায় জাহিদুল। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) গভীর রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুর এলাকা থেকে জাহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া মহল্লার টিক্কা ব্যাপারীর ছেলে।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, জাহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি উটপাখি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের সমর্থক হিসেবে নির্বাচনের তিন দিন আগে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে আসেন। দুদিন তিনি প্রচারণায় অংশ নেন। নির্বাচনের আগের দিন অন্যান্য আসামিরা পরিকল্পনা করে এবং তার হাতে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি দেওয়া হয়। এছাড়াও অপর এক আসামির বাড়িতে রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র মজুদ রাখা হয়।
ফলাফল ঘোষণার সময় প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনসহ ছুরি নিয়ে শহিদগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপস্থিত হন জাহিদুল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী তরিকুল ইসলাম খান বিজয়ী হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তরিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি। এরপর ছুরিটি নিজ বাড়িতে লুকিয়ে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরে চলে যান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতার জাহিদুলই সরাসরি এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। তার দেওয়া তথ্যমতে ব্যাপারীপাড়া মহল্লার একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। আশা করছি অল্পদিনের মধ্যেই আমরা ভাল কিছু করতে পারবো।
সিরাজগঞ্জ,শুক্রবার,২২ জানুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।