রাজধানীর চকবাজার থানায় র্যাবের করা অস্ত্র মামলা থেকে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ইরফান সেলিমের অস্ত্র মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের ওপর শুনানির জন্য ধার্য ছিলো। এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এই তথ্য জানান।
গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই থানার মাদক মামলায়ও তার অব্যাহতির সুপারিশ করেন এ তদন্ত কর্মকর্তা।
গত বছর ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন। কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ।
ঢাকা,বৃহস্পতিবার,১৮ ফেব্রুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।