বজ্রপাতে সিরাজগঞ্জে ৫ জনসহ বিভিন্ন জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়।রোববার সকালে ঝড়ো বাতাস শুরু হয় সিরাজগঞ্জে। সাথে প্রবল বৃষ্টি। এসময় কাজিপুর উপজেলার তেকানি চরে, ছেলে আরফানকে নিয়ে কৃষি কাজ করছিলেন শামছুল হক। ঝড়ের সময় বজ্রপাতে তাদের দু’জনের শরীরই ঝলছে যায়। তাৎক্ষণিক-ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া বজ্রপাতে, জেলার কামারখন্দ ও শাহজাদপুর উপজেলায় ২ কিশোরসহ আরো তিনজন মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এসময় আখাউড়া উপজেলার দরুইন গ্রামে, বজ্রপাতে আবদুর রহিম (৪০) নামের এক কৃষক নিহত হন। এসময় আহত হন আরো ২ কৃষক। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে, সুনামগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর গ্রামে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে লিটন মিয়া (৩০) নামের এক কৃষক মারা যান।
এদিকে, রাঙ্গামাটিতে দুপুরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বজ্রপাতে মনছুরা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বজ্রপাতে নওগাঁর সাপাহারে বজ্রপাতে সোনাভান (২২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীসহ আরো তিনজন আহত হয়েছেন। দুপুরে উপজেলার রামাশ্রম গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও বজ্রপাতে পোরশা উপজেলায় মুক্তার হোসেন (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবক ও শ্রীপুর উপজেলার ধলাদিয়া এলাকায় বিলকিস বেগম (৪৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ছয়জন। তারা হলেন- শৌরভ, মনি সামান্ত, লতা, আলেয়া, তাপসি ও জহিরুল ইসলাম।
মাগুরা সদর উপজেলার অক্কুরপাড়া, রায়গ্রাম ও শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার অক্কুরপাড়ার শামীম হোসেন, একই উপজেলার রায়গ্রামের আলম ও শালিখার উপজেলার বুনাগাতী গ্রামের মেহেদী।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বজ্রপাতে অশোক পাণ্ডে (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বিকেলে উপজেলার পীড়ার বাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।তিনি কোটালীপাড়া উপজেলার পীড়ার বাড়ি গ্রামের জ্ঞানেন্দ্রনাথ পাণ্ডের ছেলে।
ঢাকা,রোববার,২৯ এপ্রিল , এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।