বজ্রপাতে সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ১১ জন নিহত হয়েছেন।আজ সোমবার সকাল থেকে কালবৈশাখী, বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে।
তাঁদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে চারজন, জামালপুরে দুজন, রাজশাহীতে তিনজন, সুনামগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে নিহত হয়েছেন।রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয় বজ্রপাতে চারজন নিহত হন। আজ সোমবার দুপুরে ঝড়ের সময় এ ঘটনা ঘটে।রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন,রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব এলাকায় দুপুরে মাছ ধরার সময় ফরহাদ নামের এক যুবক এবং ভোলাব এলাকায় চলার পথে রফিকুল ইসলাম ও হাসেম মোল্লা নামের দুজন নিহত হন।অন্যদিকে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, জামপুর এলাকায় জমিতে কাজ করার সময় ওবায়দুল নামের এক কৃষক নিহত হন।সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের শ্যামেরপাড়া গ্রামে ক্ষেতে ধান কাটছিলেন কৃষক হাবিবুর রহমান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার দক্ষিণ চিনাডুলী গ্রামে বজ্রপাতে বকুল মিয়া (৩২) নামের এক কৃষক নিহত হন। রাজশাহীতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে নগরীর মতিহার এবং পুঠিয়া ও গোদাগাড়ী উপজেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়। সকালে বেগুনের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের সময় বজ্রপাত হলে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলী নামের এক কৃষক ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সময় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় গোদাগাড়ী উপজেলার আয়নাপুকুর গ্রামের কৃষক বাবলু। এ ছাড়া বজ্রপাতে নগরীর মতিহার এলাকার এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার একটি হাওরে বজ্রপাতে এক ধান কাটার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত কৃষকের নাম ইয়াহিয়া আহমদ (২৭)। চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। হাসিবুল নামের ওই তরুণ কুতুবপুর গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে।
ঢাকা,সোমবার,৩০ এপ্রিল , এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।