উপকূলীয় বিস্তির্ন মাঠ জুড়ে এখন পাকা ধানের ঘ্রান বইছে। রোগ-বালাই ও পোকায় বেশি একটা আক্রমনই করতে পারেনি। বোরো আবাদের জন্য মাটি, মিষ্টি পানি ও আবহাওয়া ছিল কৃষকের অনুকলে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর রেকর্ড পরিমান জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন কৃষকরা। ফলে ফলন হয়েছে বাম্পার। আর এ বাম্পার ফলন দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। ইতোমধ্যে অনেকেই উৎসব মুখর পরিবেশের ক্ষেতের সোনালী ফসল ধান কাটা শুরু করেছে। আবার কেউ বা কাটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বাজারে ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ওইসব কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে জানা গেছে, এ বছর কলাপাড়ায় ২৮৭৫ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। কিন্তু গত বছর মাত্র ১১০০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এবছর প্রায় তিনগুন বেশি আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে কৃষকরা কম বেশি বোরোর আবাদ করেছেন। জমি চাষ থেকে শুরু করে চারা রোপন, আগাছা দমন, সার-ঔষধ প্রয়োগ ও ক্ষেতের নিয়মিত পরিচর্যা করায় ফলনও হয়েছে ভাল। মিষ্টি পানি ও আবহাওয়া ছিল কৃষকের অনুকলে। এখন বিস্তির্ন মাঠ জুড়ে সোনালী ধান বাসাতে দুলছে। এ বছর কৃষকরা যদি ধানের ন্যায্য মূল্য পান, তাহলে আগামীতে আরও বেশি রোরোর আবাদ করবেন বলে কৃষি জানিয়েছেন।
কৃষক আবুল মিয়া জানান, এবছর এক একর জমিতে বোরোর চাষ দিয়েছি।
উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। কৃষক রবিউল জানান, ফলন ভাল হয়েছে। ধানের বাজার দর ভাল পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, বোরো আবাদের সময় যদি মিষ্টি পানি ধরে রাখা যায়, তাহলে এ এলাকায় বোরোর বাম্পার ফলন হবে।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,
পটুয়াখালী,সোমবার,৩০ এপ্রিল , এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।