সিনিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিছক একজন ব্যক্তি নন, মৃত্যুন্জয়ী হে পিতা তুমিই বাংলাদেশের নাম,,বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম, একটি চেতনার নাম। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির শুধু একটি নাম নয়। শেখ মুজিবুর রহমান একটি বাঙালি জাতির পতাকার নাম, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের একটি স্থপতির নাম, শেখ মুজিবুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম,একটি বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের নাম, একটি দেশের স্বাধীনতার নাম, একটি বিশ্ববাসীর নিকট বাঙালার উজ্জ্বল মুখের নাম, বাঙালার সমৃদ্ধ ইতিহাসের নাম,সার্বভৌমত্বের নাম, গণভ্যূত্থানের নাম, নিপীড়িত মানুষের আন্দোলনের অগ্রসেনানীর নাম,উন্নয়নের নাম, দারিদ্র বিমোচনের নাম সর্বপরি একটি দেশের সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের গ্রোথিত চিরঅম্লান একটি নাম,একটি উজ্জীবিতের নাম। মুজিবের তুলনা শুধু মুজিবইখন্ড মুজিবের বাংলা তথা বাংলাদেশ। সেই মহান ব্যক্তি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জাতি স্মরণ করছে বিনম্র শ্রদ্ধায়। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি এদেশের স্বাধীনতার স্বাধ লাভ করে।
পৃথিবীর মানিচিত্রে জায়গা পায় নতুন এক ভূ-মুজিব। যারা বঙ্গবন্ধুকে লালসার কাছে বিবেক বিসর্জন দিয়ে পচাত্তরের পনেরই আগষ্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের ফলে অপূরনীয় ক্ষতি হয় দেশের যা আজও পূরণ হয়নি, হয়ত আগামীতেও হবে না। তবে দেশের আপামর জনগণের মনে গভীরে বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ ব্যক্তি রয়ে গেছে। অনেক বাঁধা পেরিয়ে দেরিত হলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে।অপরাধীদের মধ্যে পাঁচজন সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করেছে, ফাঁসি কার্যকর ও অনেকের ফাঁসির রায় হয়েছে। তবে দন্ডিত বাকি ছয়জন এখানো রয়ে গেছে ধরাছোয়াঁর বাইরে। এদের মধ্যে তিনজনের ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর না করতে না পারা নি:সন্দেহে হতাশার। আমাদের প্রত্যাশা, সরকার খুনিরা যেদেশেই থাকুক না কেন তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ডিতদের সাজা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহন করবে।এই মহান ব্যক্তি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ঢাকা বিভাগের মধ্যে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৭ই মার্চ ১৯২০ সালে জন্ম গ্রহন করেন। টুঙ্গিপাড়ার অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা অতি সাধারণ একজন মানুষ হয়ে উঠলেন একটি জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। তার ডাকে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল সবাই। একাত্তরে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবার। কিন্তু এখনকার বাংলাদেশ দেখলে মনে হতে পারে, বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের। কিন্তু তা তো হওয়ার কথা নয়। বঙ্গবন্ধু সবার, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুকে দলীয় গন্ডিতে কুক্ষিগত করে রাখলে আওয়ামী লীগের ক্ষতি। বঙ্গবন্ধু যত বিস্তৃত হবেন, আওয়ামী লীগের তত লাভ। এখন বাংলাদেশে লাখ লাখ, কোটি কোটি বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম
উচ্চারণ করার মতো সাহসী মানুষ ছিল খুব কম। ২১ বছর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
মোঃ মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম
এক্সিকিউটিভ মেম্বার- ঢাকা উত্তর সাংবাদিক ফোরাম