আগামী ৩০শে মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগেই শিক্ষক-কর্মচারীদের করোনার টিকা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যম্যে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সারাদেশে বিনামূল্যে বই বিতরণ ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান সরকার শিক্ষার হার ৭৪.৪ ভাগে উন্নীত করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়ন জন্য সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম ডিজিটালাইজও করা হয়েছে।’ সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের এই ধারা অব্যাহত রাখতে উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।
করোনা মহামারীর কারণে স্কুল কলেজে ঘোষিত ছুটি শেষ হচ্ছে জানিয়ে ৩০শে মার্চের আগে শিক্ষক কর্মচারীদের করোনার টিকা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সেই সাথে ছাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও ছাত্রের সংখ্যা কমছে উল্লেখ করে এ বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেয়ারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন। নিজে যে প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন, সেটার উন্নয়নে ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসলেই তো হয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করি। এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান দেয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ দেয়া হচ্ছে।’গণভবন প্রান্ত থেকে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।
ঢাকা,রোববার,২৮ ফেব্রুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।