একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কমপক্ষে দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কিন্তু এ ঘুমের সময়ই অনেকেই একটি সমস্যার সম্মুখীন হন আর তা হলো নাকডাকা। খবর আনন্দবাজার।ঘুমানোর সময় আপনার নাকডাকার বদ অভ্যাসে অনেকেরই ঘুম ভেঙে যায়। এর জন্য কখনো কখনো আপনাকে শুনতে হয় তিরস্কার বা ভর্ৎসনা। কী করবেন, এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে?
মূলত নাকডাকার ক্ষেত্রে মুখগহ্বর, গলা এবং আলজিভের গঠন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। ওজন বৃদ্ধির জন্য মুখগহ্বরের ভেতরের তালু মোটা, নরম ও নিচু হলে শ্বাসবায়ুর পথ সংকুচিত হয়। তা ছাড়া আলজিভ মোটা হওয়ার কারণেও শ্বাসবায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে কম্পন এবং সেই সঙ্গে নাকডাকার শব্দ সৃষ্টি হয়।
যাদের নাক ডাকার অভ্যাস আছে তারা চিত হয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকিয়ে শোয়ার অভ্যাসটা বাদ দিয়ে দিতে পারেন। এর পরিবর্তে বাম বা ডান পাশে কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
এতেও যদি আপনার এ সমস্যার সমাধান না পাওয়া যায় তবে ঘুমের আগে পান করতে পারেন একধরনের পানীয়। এ জন্য আপনার প্রয়োজন হবে সামান্য কিছু উপকরণ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: আপেলের টুকরো ১/২ কাপ, গাজরের টুকরো ১/২ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, আদার টুকরো ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন: ব্লেন্ডারে এসব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে এ পানীয়টি পান করুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এটি পান করার অভ্যাস করতে পারেন।
উপকারিতা: এ পানীয়টি শ্বাসনালি চওড়া করতে এবং ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালি থেকে মিউকাসের দ্রুত নিঃসরণ ঘটাতে সক্ষম। তাই এ পানীয় নাকডাকা বন্ধে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
আরও পড়ুন: করোনামুক্ত হলেও থাকতে পারে যেসব সমস্যা
নাকডাকার সমস্যাকে প্রাথমিকভাবে গুরুতর কিছু মনে না হলেও নাক ডাকা স্বাভাবিকভাবেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতির কারণেও আপনি এ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই নাকডাকার সমস্যা থাকলে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সেই সঙ্গে প্রতিকারের জন্য গ্রহণ করা উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
লাইফস্টাইল,মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।