জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোববার (৭ আগস্ট) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান করেছে বাংলাদেশ। জেতার জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ২৯১ রান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সামনে এই লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল দারুণ। অফসাইডে ছয় ফিল্ডার রেখে তামিম ইকবালকে ক্রমাগত করা হচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে বল। এর মধ্যেই ফাঁকা জায়গা বের করে বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন তামিম। যদিও তাকে থামতে হয় ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ৫০ রান করে। চিভাঙ্গার বলে তুলে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ দেন কাইতানোর হাতে।
এরপর অনেকটা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে আউট হতে হয় এনামুল হক বিজয়কে। চিভাঙ্গার বলে স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেন শান্ত। বিজয় তখন ছিলেন নন স্ট্রাইকে। চিভাঙ্গার হাত ছুঁয়ে বল স্টাম্পে লাগলে ২৫ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় বিজয়কে।
মাঝে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিমও। ১ চারে ৩১ বলে ২৫ রান করেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে ছিলেন অনেক্ষণ। মনে হচ্ছিল চার বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাবেন তিনি।
কিন্তু তার ধীরগতির ৫৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস থামে মাদাভিরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিলে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খেলছিলেন অনেকটা একই রকম ইনিংস। যদিও শেষদিকে কিছু বাউন্ডারে হাঁকিয়ে রানের সঙ্গে বলের পার্থক্য কমিয়েছেন তিনি। তবুও বাউন্ডারি হাঁকাতে তার ভোগান্তি, রান নিতে কষ্ট ফুটে উঠেছে স্পষ্ট।
ভুগতে থাকা বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। বলতে গেলে মিডল অর্ডারে টাইগাররা যে সংগ্রহ পায় তার সিংহভাগই আসে তার ব্যাট থেকে। আফিফ আউট হন ৪১ বলে ৪১ রান করে। বিপরীত প্রান্তে রিয়াদ থাকলেও তিনি ব্যাট করেন মন্থর গতিতে। তবে রিয়াদ শেষ দিকে কিছুটা হলেও নিজের ইনিংস মেরামত করতে সক্ষম হন। ৮৪ বলে তিনি করেন ৮০ রান।বাকিদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫, তাইজুল ইসলাম ৬, তাসকিন আহমেদ ১ ও শরিফুল ইসলাম ১ রান করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন সিকান্দার রাজা। ওয়েসলে মেধেভেরে নেন ২ উইকেট। একটি উইকেট পান তানাকা চিভাঙ্গা।
ক্রীড়া ডেস্ক,রোববার ০৭ আগষ্ট,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।