করোনা ভাইরাস লাইভ

বাংলাদেশে

নতুন আক্রান্ত মোট আক্রান্ত সুস্থ মৃত্যু
১০ ২০,৪৫,৬৫২ ২০,১৩,২৪১ ২৯,৪৭৭

দেশের নারীরা নয় পৃথিবীর সকল নারীর জন্যই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার জীবনী অনুকরণীয়

কেবল দেশের নারীরা নয়,পৃথিবীর সকল নারীর জন্যই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার জীবনী অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার (৭ আগস্ট) সকালে ‘বঙ্গমাতা: এ প্যারাগন অব উইমেনস লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।সম্মেলনে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর অবদান রচিত হলেও বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ জানা যায় খুবই কম। বঙ্গবন্ধুর হয়ে মামলা পরিচালনা কিংবা জেলে থাকাকালীন যোগাযোগ সবকিছুই এক হাতে সামাল দিতেন বেগম মুজিব।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ মুজিবের কাছ থেকে জীবনে কোনো কিছুই চাওয়া ছিল না বেগম মুজিবের। বরং নিজের জমি থেকে উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসারে রাখতেন অবদান।জাতি গঠনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান ও জীবন দর্শন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে সম্মেলনটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আজকে যে সুযোগটা দিয়েছেন এবং জেন্ডার সমতার কথা বলেছেন- আমার বাবার পাশে থেকে থেকে যেভাবে তিনি (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) সাহস দেখিয়েছেন আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু না পৃথিবীর অনেক মেয়েরাই তার জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে। যে একজন মানুষ তার জীবনের সব কিছু ত্যাগ করেছেন একটি জাতির স্বাধীনতার জন্য, একটি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।

শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে সব সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব সময় সহযোগিতা করতেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, মার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনদিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি আমার আম্মা কোন আবদার করেছেন। তার নিজের যেটুকু ছিল সবই তিনি বিলিয়ে দিতেন। দলের জন্য, মানুষের জন্য, গরীব আত্মীয় পরিবার পরিজনের জন্য।

১৫ আগস্টের নির্মমতা এবং বঙ্গমাতার সাহসিকতা ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যখন আমার আব্বাকে গুলি করলো আমার মা কিন্তু জীবন ভিক্ষা চাননি। এ পরিস্থিতিতে সাধারণত মানুষ নিজের জীবন ভিক্ষা চায়। আমার মা ভিক্ষা চাননি। মা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন- উনাকে যখন হত্যা করেছো আমাকেও হত্যা করো। তখন ঘাতকের বুলেট তাকে কেড়ে নেয়।

তিনি বলেন, ঘাতক করা? এরা তো আমাদের বাসায় অহরহ যেত। আমার মা সবাইকে আপ্যায়ন করতো। অথচ তারা ঘাতক হয়ে আসলো।

বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দুরদর্শীতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসারের ব্যাপারে, রাজনীতির ব্যাপারে প্রতিটি ব্যাপারে তিনি যে সিদ্ধান্ত যখন দিয়েছেন সেটা যে আমাদের দেশের জন্য কত সঠিক আর শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনটাও দিয়ে গেলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।
ঢাকা,রোববার ০৭ আগষ্ট,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ আপডেট



» দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী..আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

» খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে হস্তান্তর

» শেখ হাসিনার সরকারকে অচল করে দেয়ার ক্ষমতা কারোই নাই :এনামুল হক শামীম

» ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু।আক্রান্ত দুই হাজার ১৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি

» নতুন করে আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত, কারও মৃত্যু হয়নি।

» আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

» খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে কেবিন থেকে ফের সিসিইউতে

» রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার রাজৈরের প্রধান শিক্ষকের মরদেহ

» মৌলভীবাজারের দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলার প্রধান পলাতক আসামি ঢাকা শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার

» বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এমপি শেখ তন্ময় এতিমদের সাথে দুপুরের খাবার খেলেন

লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন

 

 

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
আজ শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ, ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশের নারীরা নয় পৃথিবীর সকল নারীর জন্যই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার জীবনী অনুকরণীয়




কেবল দেশের নারীরা নয়,পৃথিবীর সকল নারীর জন্যই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার জীবনী অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার (৭ আগস্ট) সকালে ‘বঙ্গমাতা: এ প্যারাগন অব উইমেনস লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।সম্মেলনে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর অবদান রচিত হলেও বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ জানা যায় খুবই কম। বঙ্গবন্ধুর হয়ে মামলা পরিচালনা কিংবা জেলে থাকাকালীন যোগাযোগ সবকিছুই এক হাতে সামাল দিতেন বেগম মুজিব।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ মুজিবের কাছ থেকে জীবনে কোনো কিছুই চাওয়া ছিল না বেগম মুজিবের। বরং নিজের জমি থেকে উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসারে রাখতেন অবদান।জাতি গঠনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান ও জীবন দর্শন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে সম্মেলনটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আজকে যে সুযোগটা দিয়েছেন এবং জেন্ডার সমতার কথা বলেছেন- আমার বাবার পাশে থেকে থেকে যেভাবে তিনি (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) সাহস দেখিয়েছেন আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু না পৃথিবীর অনেক মেয়েরাই তার জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে। যে একজন মানুষ তার জীবনের সব কিছু ত্যাগ করেছেন একটি জাতির স্বাধীনতার জন্য, একটি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।

শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে সব সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব সময় সহযোগিতা করতেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, মার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনদিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি আমার আম্মা কোন আবদার করেছেন। তার নিজের যেটুকু ছিল সবই তিনি বিলিয়ে দিতেন। দলের জন্য, মানুষের জন্য, গরীব আত্মীয় পরিবার পরিজনের জন্য।

১৫ আগস্টের নির্মমতা এবং বঙ্গমাতার সাহসিকতা ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যখন আমার আব্বাকে গুলি করলো আমার মা কিন্তু জীবন ভিক্ষা চাননি। এ পরিস্থিতিতে সাধারণত মানুষ নিজের জীবন ভিক্ষা চায়। আমার মা ভিক্ষা চাননি। মা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন- উনাকে যখন হত্যা করেছো আমাকেও হত্যা করো। তখন ঘাতকের বুলেট তাকে কেড়ে নেয়।

তিনি বলেন, ঘাতক করা? এরা তো আমাদের বাসায় অহরহ যেত। আমার মা সবাইকে আপ্যায়ন করতো। অথচ তারা ঘাতক হয়ে আসলো।

বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দুরদর্শীতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসারের ব্যাপারে, রাজনীতির ব্যাপারে প্রতিটি ব্যাপারে তিনি যে সিদ্ধান্ত যখন দিয়েছেন সেটা যে আমাদের দেশের জন্য কত সঠিক আর শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনটাও দিয়ে গেলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।
ঢাকা,রোববার ০৭ আগষ্ট,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা প্রগতি স্বরণী বাড্ডা ঢাকা-১২১২ | ব্রাঞ্চ অফিস: ২৪৭ পশ্চিম মনিপুর, ২য় তলা, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com