পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সেই বিশালদেহী ষাঁড় দু’টিকে বিক্রির জন্য ঢাকার কোরবানির গরুর হাটে নেয়া হয়েছে। একটির নাম কালু ও অপরটির নাম চান্দু। কালুর ওজন ২৭ মণ আর চান্দুর ২৩ মণ ওজন। গত শনিবার বিকালে কালু ও চান্দু’র মালিক উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের থঞ্জুপাড়া গ্রামের কৃষক সিদ্দিক মীর ঢাকার গাবতলী কোরবানির গরুর হাটে নিয়ে যায়। শাহিওয়াল ও হলিস্টিন জাতের বিশালদেহী ষাঁড় দু’টিকে দেখে অনেক ক্রেতারা এসে দামও হেঁকেছেন। তবে তিনি কালু ও চান্দু ১৪ লাখ টাকায় হাত ছাড়া করবেন বলে মালিক কৃষক সিদ্দিক জানান। জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৮৩ হাজার টাকায় কালুসহ একটি গাভি কেনন তিনি। বছর যেতে না যেতেই কুলুকে জন্ম দেয় ওই গাভিটি। এর পরের বছর ফের জন্ম হয় চান্দু। তাদের খাবারের মেন্যুতে তেমন রাজকীয়তা ছিল না কখনোই। দেশি খাবার এবং সঠিকভাবে লালন পালন করায় কালু ও চান্দু বিশালদেহী হয়ে ওঠে। কালু কুচকুচে কালো রঙের এবং চান্দুর কপালে চাঁদের দাগটানা রয়েছে। কৃষক সিদ্দিক মীর বলেন, কালু ও চান্দুকে সামলে রাখা খুবই কষ্টকর। অনেক পরিশ্রম করে ওদের বড় করেছি। শনিবার একটি ট্রাকে করে ঢাকার গাবতলী গরু বাজারে নিয়ে এসেছি। কাঙ্খিত দাম পেলেই বিক্রি করবো। কলাপাড়া উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ গাজী শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, কৃষক সিদ্দিক মীরের এই ষাঁড় দুটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। তার পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানাই।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,বৃহস্পতিবার ২২ জুন এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।