ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।শনিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ আন্দোলনের নেতাদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা সংস্কার নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সকালে সংবাদ সম্মেলন করতে যান ক্যাম্পাসে। এ সময় তাদের বাধা দিয়েদফায় দফায় মারধর করা হয়।এতে আন্দোলনকারীদের ছয়জন আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আহতরা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।তবে হামলা ও মারধরের ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সংবাদ সম্মেলন করতে এলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের মারধর করে। এ সময় ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কোটা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামীকাল রোববার (১ জুলাই) থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।কোটা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমাদের সংবাদ সম্মেলনে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন এবং সারাদেশে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
গত এপ্রিলে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে একপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মেনে নিলেও অপর পক্ষ তা না মেনে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়ে আসছিল।তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একাংশ।
ঢাকা,শনিবার,৩০ জুন,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।