ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম
(বার), পিপিএম বলেছেন, সিটিটিসির একঝাঁক তরুণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে আমরা একের পর এক অভিযানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করেছি। সিটিটিসি জঙ্গিদমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রবিবার দিবাগত রাত ১২টায় ঢাকার গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার এসব কথা বলেন।
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় বলেন, ডিএমপি কমিশনার সাফল্য ও উন্নয়নের বছর হোক ২০১৮ সাল। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবার জন্য সুন্দর এবং সাফল্য বয়ে আনুক।
রাজধানীর হাতিরঝিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ ও বনানী এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন ডিএমপি কমিশনার। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার বলেন,‘২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে যে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, তারপর থেকে সিটিটিসির একঝাঁক তরুণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে আমরা একের পর এক অভিযানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করেছি। সিটিটিসি
জঙ্গিদমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু সন্ত্রাসী না, আমরা তাদের আশ্রয়দাতা, মদদদাতা ও অর্থদাতাকে খুঁজে খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) সারাদেশে অর্ধশতরও বেশি সফল অভিযানের মধ্য দিয়ে কঠোরভাবে আমরা দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন,নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি না করলে, নববর্ষ উদযাপন করা যায় না। তাই নগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাজধানীর টিএসসি, শাহবাগ, গুলশান, বারিধারাসহ, বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় পাহারায় রয়েছে শত শত পুলিশ, নববর্ষের উৎসবকে সুন্দর ও সাবলিল পরিবেশে উদযাপনের জন্য এটা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলার পর পুলিশ একের পর এক সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি আগামী বছরটি সবার জন্য সুন্দর ও মধুময় হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনারের দাবি, বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে।প্রতিটি এলাকায় নিরাপত্তার জন্য ইউনিফর্ম পরা ও সাদা পোশাকে পুলিশ রয়েছে। তার মন্তব্য, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসব করতে পারে।
প্রতি বছরের মতো এবারও নাগরিকরা পুলিশকে সহযোগিতা করছে বলে ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার। তার ভাষ্য, ২০১৮ সালে নাগরিকদের নিয়ে একসঙ্গে ঢাকাকে নিরাপদ রাখা হবে। এজন্য আমরা জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো। আমরা আপনাদের পাশে অতীতে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমরা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের মেলবন্ধন করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসদমনে জনগণের মধ্যে যে ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছে তা বজায় রেখে তাদেরকে জানাতে চাই। আমরা কাজ করে যাচ্ছি মাদক প্রতিরোধে প্রত্যেক নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন ডিএমপি কমিশনার। তার কথায়, ‘আমরা মাদকের অপব্যবহার রোধে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেজন্য প্রত্যেক নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি)ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম,কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের উপকমিশনার,প্রলয় কুমার জোয়ারদার,ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ- কমিশনার (ডিসি) মোশতাক আহমেদ,জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এবং অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
মোঃ মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম,
ঢাকা,রোববার,৩১ ডিসেম্বর, এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।