ক্যাসিনোর টাকা প্রতি মাসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে যায় তথ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগের ভিত্তি নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আগে নিজেদের দিকে তাকান। কী চমৎকার আবিষ্কার আপনার? এই কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আপনারা যে লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা পাচার করছেন তা ফাঁস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পূর্বপাশের পাকা রাস্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আলমগীর একথা বলেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। তিনি মুক্তি পেলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
মাননীয় তথ্যমন্ত্রী সাহেব নতুন নতুন তথ্য নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন, তিনি এবার তথ্য দিয়েছেন এই টাকা- ক্যাসিনোর টাকা না কি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে মাসিকভাবে যায়। আ হা কি চমৎকার আবিস্কার আপনার (তথ্যমন্ত্রী)। এই কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আপনাদের জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে। স্বাধীনতার মূল চেতনাই ছিল গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না- আমরা জনগণকে তার সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই। বললেন ফখরুল।
‘দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। আপনাদের (সরকারের) সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে। ক্ষমতা দিয়ে আর টিকে থাকা যাবে না। তাই এখনও সময় আছে সংসদ ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন।’ তিনি বলেন, আপনারা জনগণকে বোকা ভাবেন। জনগণকে বিশ্বাস করেন না। আর করবেন বা-ই কেন আপনার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে যাচ্ছেন। ক্যাসিনো তো ক্যাসিনোই ছাড়া কত হাজার কোটি টাকা গেছে? এক বছরে ২৭ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। তারচেয়েও বড় অপরাধ আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী,রোববার, ২৯ সেপ্টম্বর,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।