বিশিষ্ট অভিনেতা কে এস ফিরোজ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিমএইচ) মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।তার মৃত্যুর খবরটি ফেসবুকে জানিয়েছেন তার মেয়ে প্রীতু ফিরোজ। প্রীতু ফিরোজ লেখেন, আমার সৈনিক বাবা, মেজর (অব.) খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ (সবার কাছে উনি কে এস ফিরোজ নামে পরিচিত) আজ সকালে ৬টা ২০ মিনিটে সিএমএইচ-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি এখন শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আজ বাদ জোহর বাবার ইচ্ছাতে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা আহসান হাবীব নাসিম বলেন, নাট্যাঙ্গন একজন গুণী অভিনেতাকে হারালো। তিনি আমাদের সংগঠনের আজীবন সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।কে এস ফিরোজের জন্ম ঢাকার লালবাগে, কিন্তু তার পৈতৃক নিবাস বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে। তার বাবার নাম এ জে এম সাইদুর রহমান এবং মা রাবেয়া খাতুন।
১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন।
নাট্যদল ‘থিয়েটার’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে। এছাড়া তিনি টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ। বহু একক নাটক, ধারাবাহিক ও টেলিফিল্মে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। বহু বিজ্ঞাপনও করেছেন।
বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। এছাড়া কে এস ফিরোজ অভিনয় করেছেন আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’র মতো প্রশংসিত সিনেমায়।
বিনোধন ডেস্ক:,বুধবার,০৯ সেপ্টেম্বর,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।