করোনার টিকা প্রয়োগে ৪২ হাজার কর্মীর ৭ হাজার টিম প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, প্রতি জেলায় ৭ লাখ ডোজের বেশি ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন উৎস থেকে মোট ১১ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন মন্ত্রী।ভারতের সেরাম ইন্সটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকোর চুক্তি অনুযায়ী চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই করোনা ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। টিকা প্রয়োগের পদ্ধতি কি হবে, কারা পাবেন অগ্রাধিকার – এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বসে বৈঠক।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টিকা প্রয়োগ ও বিতরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটি। এজন্য কমিটিকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা দেয়া হবে। তবে, ভ্যাকসিন প্রয়োগে ৭ হাজার টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি জেলায় সাত লাখ ডোজ টিকা থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,প্রতিটি হাসপাতালে ৫-১০টি আইস ফ্রিজার আছে, যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। প্রাথমিকভাবে সারা দেশে বর্তমানে ৭ হাজার ৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন দিতে কোনো অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে।
টিকাদানের জন্য প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি অ্যাপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সরকারিভাবে টিকাদান শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন দিতে পারবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা,বৃহস্পতিবার,১৪ জানুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।