মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এইচ টি ইমাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (০৩ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে মারা যান তিনি।মৃত্যুকালে তাহার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি কিডনির জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তাকে অসুস্থ অবস্থায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল।এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এইচটি ইমামের জানাজা প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া আকবর আলী সরকারী কলেজ মাঠে।
এরপর বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে।
বাদ আছর গুলশানের আজাদ মসজিদে ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর মরহুমকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এইচ টি ইমামের জন্ম ১৯৩৯ সালে। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
শিক্ষা জীবনে এইচ টি ইমাম ম্যাট্রিক পাস করেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে।
এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি নেন।
পড়াশোনা শেষে রাজশাহী সরকারি কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে পাকিস্তানে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। লন্ডনের স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে এইচ টি ইমাম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এইচ টি ইমাম।
এইচ টি ইমাম স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হন এবং ১৯৭৫ সালের ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত তিনি মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
এরপর ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি যোগাযোগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবও হন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর এইচ টি ইমাম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন এইচ টি ইমাম।
ঢাকা,বৃহস্পতিবার,০৪ মার্চ,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।