দেশে ওমিক্রনের প্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার।বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া আফ্রিকা থেকে আসা নাগরিকদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।আফ্রিকা থেকে কেউ যাতে না আসেন সেটি চায় সরকার, যদি কেউ আসেন তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে এ কথা জানিয়ে করোনার নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আরও কঠোর হওয়ার কথা জানান তিনি।
বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। আফ্রিকায় প্রথম মিউটেশন হলেও করোনা ভাইরাসের এ ভ্যারিয়েন্ট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইউরোপ আমেরিকায়। এরই মধ্যে এশিয়াও বেশ কিছু দেশে শনাক্ত হয়েছে এ প্রকৃতি। বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ওমিক্রনের প্রবেশ ঠেকাতে এরই মধ্যে নড়েচড়ে বসেছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মলনে মন্ত্রী জানান, সবক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বলেন, নো মাস্ক নো সার্ভিস নয় এখন সরকার বলতে চায়, নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস।ওমিক্রন ঠেকাতে সকলকে স্বাধ্যবিধি মানতে হবে গণজমায়েত না করতে অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, তবে দেশে করোনার প্রকোপ কমায় যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটা হলো—আগে যে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ছিল, এখন আমরা বলতে চাচ্ছি ‘নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস। ’ এটা আমাদের পরামর্শ। যদি এটা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে টিকা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
তিনি বলেন, ‘নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস’ স্লোগানটি চিঠি দিয়ে সব মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হবে। বেসরকারি পর্যায়েও জানানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ছয় কোটি সিঙ্গেল ডোজ ও চার কোটি ডাবল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সব পর্যায়ে টিকা দেওয়া ব্যবস্থা করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত টিকা নিয়ে গেছি। ফাইজারের টিকাও আমরা বিভিন্ন উপজেলায় পাঠিয়েছি। তারপরও দেখা যাচ্ছে—অনেকে এখনও টিকা দেয়নি। অনেকের মধ্যে টিকা নিয়ে অনিহা রয়েছে।
ঢাকা,সোমবার ৩০ নভেম্বর,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।