কোভিড-১৯ এর ৭৬৯টি নমুনার জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্তদের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। ৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত সংগৃহীত নমুনার ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরবর্তী মাসে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বৃদ্ধির আশংকা করা যাচ্ছে।কেভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য কেভিড-১৯ এর জিনোম চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জিনোমের ডাটাবেজ তৈরি করা।
তিনি বলেন, এ প্রতিবেদন বিএসএমএমইউ-এর চলমান গবেষণার ৬ (ছয়) মাস ১৫ (পনের) দিনের ফলাফল, আমরা আশাকরি পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে হালনাগাদ করা ফলাফল জানাতে পারব।
২৯ জুন ২০২১ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দেশব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় দেশের সব বিভাগের প্রতিনিধিদের স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৭৬৯ কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
বিএসএমএমইউর গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীর সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়সসীমাকেই কোভিড ১৯-এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণ রয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি পেয়েছিলাম। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
ঢাকা,মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।