স্বল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত উইকেটের পতন হলে হারের শঙ্কা জাগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে। সময়ে সময়ে রঙ বদলাতে থাকা শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত সিলেট সানরাইজার্সকে ২ উইকেটে হারায় ইমরুল কায়েসের দল।মাত্র ৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের স্পিনারদের তোপের মুখে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। দলীয় ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছিল কুমিল্লা। তবে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে তানভীর ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
স্বল্প লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফাফ ডু প্লেসির উইকেট হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে চাওয়া ডু প্লেসি এদিন ৭ বলে ২ রান করে সোহাগ গাজীর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ক্যামেরন ডেলপোর্টকে নিয়ে ধীরে ধীরে ছোট লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন। তবে সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান সোহাগ গাজী।
ক্রিজে আধিপত্য করতে থাকা ডেলপোর্টকে ফেলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। সাজঘরে ফেরার আগে এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ১৬ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। তবে একপ্রান্ত আগলে ধরে ব্যাট চালান মুমিনুল। তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন ভিক্টোরিন্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তবে তাকে পিচে আধিপত্য করতে দেননি সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
একই ওভারে তার শিকার মুমিনুল ও ইমরুল। দলীয় ৪৪ রানে সৈকতের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল । ২০ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক। তার ইনিংসটি সমান এক চার ও ছয়ের মারে সাজানো ছিল। জাতীয় দলে উপেক্ষিত ইমরুল এদিন ৪ বলে এক ছয় ও চারের সাহায্যে ১০ রান করেন।
দলীয় ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। এরপর নাজমুল ইসলাম অপু বোলিংয়ে এসে আরিফুল হকের উইকেটটি তুলে নিলে জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের।
তবে উইকেটে থাকা নাহিদুল ইসলামের ব্যাটে তখনো আশা বেঁচে ছিল ভিক্টোরিয়ান্সের। ষষ্ঠ উইকেটে মাঠে নামা করিম জানাতও দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। দুই বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১৮ রান করা করিমকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে নাহিদুলকে ফেরান নাজমুল অপু। মাঠ ছাড়ার আগে এক ওভার বাউন্ডারির সাহয্যে তিনি ১৬ বলে ১৬ রান করেন। সাত ব্যাটারকে হারিয়ে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হারের শঙ্কা জেগে ওঠে কুমিল্লা শিবিরে। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন লড়াই চালিয়ে গেলেও অপরপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ইমরুলের দল।সিলেটের স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন। দুটি করে উইকেট শিকার করেন সৈকত ও সোহাগ গাজী।
ক্রীড়া ডেস্ক,শনিবার ২২ জানুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।