অসৎ উদ্দেশ্যেই তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশন আইন সংসদে পাস করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ,সরকার তাদের অনুগত লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মোনাজাতের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমি আগেও বলেছি আওয়ামী লীগ চায় একদলীয় শাসন। আর বিএনপি চায় বহুদলীয় গণতন্ত্র। সেজন্য আমাদের বক্তব্য আর তাদের বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। এখন যে সংসদ আছে সেটা একদলীয় সংসদ, নব্য বাকশালী সংসদ। ওখানে যে আইন হবে সেটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে। আমি গতকালও বলেছি সার্চ কমিটির যে খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছে এটা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন, মুজিবকোর্ট পরা মানুষগুলোকেই সার্চ কমিটিতে নেওয়া হবে এবং উনারা সার্চ করে যে ব্যক্তিদেরকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করবেন তারাও সেই মুজিবকোর্ট পরা মানুষই হবে। সুতরাং এটা একেবারেই একতরফা।
তিনি বলেন, যেভাবে হুদা কমিশন, রকিব কমিশন করা হয়েছিল, ওই রকম আর একটি কমিশন তারা করছেন। এটা একটা ড্রেস রিহার্সাল। আইন যেটা করার কথা বলছেন সেটা ১৯৭২ সালের সংবিধানে নির্দেশনা আছে। কিন্তু কোন সংসদে, যে সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই। জনগণের অংশগ্রহণ নেই। জনগণ এখানে প্রশ্ন করতে পারে না। সেই সংসদে যে আইন হবে সে আইনতো বাকশালী আইন হবে। একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যে নির্বাচন কমিশন গঠন দরকার সেটি এই আইনের মাধ্যমে হবে না। এটা শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন হবে।তিনি বলেন, এই আইন পাসের মধ্য দিয়ে দেশের চলমান সংকটের সমাধান হবে না। এটা বিএনপির একার বক্তব্য নয়, সবাই একই কথা বলছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এখানে একটা পয়েন্ট দেখবেন খুবই অনৈতিক। এতেই বোঝা যায় যে এটা অসদুদ্দেশ্যে করছে। বলছে যাদের অভিযোগ আছে যারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে তাদেরকে নির্বাচন কমিশনে নিলে কোনো অসুবিধা নেই। এতেই বোঝা যাচ্ছে গত ১৪ বছর যারা অন্যায় অপকর্ম করেছে খুঁজে খুঁজে তাদেরকে দিয়েই কমিশন গঠন করবে। কোনো ভদ্র, ভালো মানুষ সাহসী লোক তারা চায় না, তারা অনুগত লোক চায়।
ঢাকা,সোমবার ২৪ জানুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।