১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত রূপ নেয় আন্দোলন। ফেব্রুয়ারির পুরো মাস রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে মুখর ছিল ঢাকা নগরী। তেশরা ফেব্রুয়ারি কমিটি অব অ্যাকশন ঢাকায় প্রতিবাদ সভা ডাকে। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সমবেত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
১৯৫২ সালের ২৭শে জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টন ময়দানে জনসভায় জিন্নাহ্’র পুনরাবৃত্তি করে বলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। নাজিমুদ্দিনের বক্তৃতার প্রতিবাদে ২৯শে জানুয়ারি প্রতিবাদ সভা এবং ৩০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট করে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। এ সময় ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট, প্রতিবাদ সভা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষার্থীরা।
পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় পুরো মাস ঢাকা নগরী রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে মুখর ছিল। তেশরা ফেব্রুয়ারি কমিটি অব অ্যাকশন ঢাকায় একটি প্রতিবাদ সভা ডাকে। আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক প্রধান মওলানা ভাসানী সেই সভায় বক্তব্য দেন। সভায় ভাষা সৈনিক আবুল হাশিমের পরামর্শে ঠিক হয়, ২১শে ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গল অ্যাসেমব্লির বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন, একটি সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হবে।
এছাড়া, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। সমাবেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবি জানানো হয়। পরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন ঢাকা শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটও পালন করা হয়। কয়েকটি সভায় খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন বক্তারা। এক প্রস্তাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদকে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের অঙ্গ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।