পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ৪৬তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের ১৪ই মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ দিন উপলক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কুমার নদের পাড়ে জসিম মেলার আয়োজন বন্ধ রয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে। কবির স্মৃতি বিজড়িত মেলাটি পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জসিমউদ্দীন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অতুল সরকার জানান, কবির মুত্যুবাষির্কী পালন করার পাশাপাশি মানুষের দাবি পূরণে কাজ করছে প্রশাসন।পল্লীকবি ১৯০৩ সালের ১লা জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পল্লীকবির পুরো নাম মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মোল্যা। বাংলা সাহিত্যে তিনি পল্লী কবি হিসেবে পরিচিত।
রবীন্দ্র যুগের কবি হয়েও রবীন্দ্র প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে পল্লী জীবনকে অবলম্বন করে জসীম উদ্দীন নির্মাণ করেছেন স্বকীয় এক কাব্যভুবন। তার সাধনায় খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। তার লেখা ‘কবর’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান।
নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট কবির শ্রেষ্ঠ দুটি রচনা। এ দুটি রচনা পৃথিবীর বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।পল্লীকবি জসীম উদদীন শুধু একজন কবিই নন, তিনি একজন গীতিকার এবং একজন গান সংগ্রাহকও। জসীম উদ্দীন ১০ হাজারেরও বেশি লোকসংগীত সংগ্রহ করেন। তার সংকলিত এসব লোকসংগীতের বিশাল একটি অংশ জারিগান ও মুর্শিদা গানে স্থান পেয়েছে।
১৯৬৯ সালে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন। এ ছাড়া রয়েছে একুশে পদক ১৯৭৬ ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ১৯৭৮ (মরণোত্তর)।
১৯৭৬ সালের ১৪ই মার্চ বাংলার এ পল্লীকবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। কবির কবর কবিতা অনুযায়ী ডালিম গাছের তলায় কবিকে সমাহিত করা হয়।
ঢাকা,সোমবার, ১৪ মার্চ,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।