কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) নতুন ১০ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এই ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজারে বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরই মধ্যদিয়ে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজ কার্যালয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে।দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারকে মহাপরিকল্পনার আলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তাই এই শহরে যত্রতত্র কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সরকারপ্রধান বলেন, আজকে যারা পশ্চিমা দেশ থেকে পাশ্চাত্যে দেশে যারা যায়, তারা কিন্তু এই কক্সবাজার থেকে রি-ফুয়েলিং করবে। রি-ফুয়েলিংয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময় অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল এরপর থাইল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুর এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথের রি-ফুয়েলিংয়ের একটি জায়গা।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অন্যান্য অঞ্চল যেমন বরিশাল, রাজশাহী, সৈয়দপুর এ রকম যতগুলো বিমানবন্দর আছে সেখান থেকে কক্সবাজারের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হয়। তার ব্যবস্থাটাও আমরা ভবিষ্যতে করে দেবো। যাতে আমাদের পর্যটনও বাড়বে, সব বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা রক্ষা করতে হবে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এই কক্সবাজারে ভালো কনভেনশন সেন্টার করা হবে, অন্য কোথাও না, রাজধানীতে না। আমি চাই কক্সবাজার হবে এজন্য যে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে এবং সরকারি যে সেমিনার সেগুলো করা হয় সেখানে যাতে করা যাবে এমন ভাবে তৈরি করা হবে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা ও পাহাড় মিলিয়ে একটি ভূখণ্ড আমরা পেয়েছি। এর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা প্রয়োজন। এই সম্পদ রক্ষা করতে হবে। পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পর্যটন নগরীকে আকর্ষণীয় করতে অনেক ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। বিশেষ ধরনের আধুনিক ব্যবস্থাগুলোও আমরা ধীরে ধীরে নেবো। সেটিই আমরা চাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়েছে। আমরা চাই, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। বিশ্বের বুকে সবচেয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুন্দর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।
এর আগেই আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবনটির পুরো কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কক্সবাজারের পর্যটন, সমুদ্র সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে ঘিরে সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই পরিকল্পনার ভেতরে ২০১৬ সালে কক্সবাজারে যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন কউক চেয়ারম্যান লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা প্রশাসক মো. মানুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকা,বুধবার ১৮ মে,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।