ভারত বাংলাদেশে গম রফতানি বন্ধ করেনি। যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজ্য না। এছাড়া বাংলাদেশে গমের যথেষ্ট মজুদও আছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।তিনি বলেন, ভারতের গম রপ্তানি বন্ধ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
জিটিজি পদ্ধতিতে আনা যাবে। দেশে গমের ‘এনাফ’ (যথেষ্ট) মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির ২য় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।গম নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন ধরে একটা কথা বাজারে বাতাসে উড়ছে যে, ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য বাজারে গমের দামে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু কথাটি একেবারেই ঠিক নয় আমাদের জন্য। ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে অনান্য দেশের। আমি হাই কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি, উনিও একটা প্রেস কনফারেন্স দিয়েছেন যে, জিটুজি বন্ধ করা হয়নি, সরকার লেভেলে যত খুশি আনা যাবে।
এমনকি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যারা বড় বড় আমদানিকারক আছেন চাইলে চিঠি দিয়ে অনুমিত নিতে পারবেন। পুরোপুরি (১০০ ভাগ) আমদানিতে কোনো বাধা নেই৷ যার জন্য ভারত থেকে নিষেধাজ্ঞা আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে না বলেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেঘ দেখলেই বলে ঝড় এসে গেল। সেটা কিন্তু নয়। তাছাড়া আমাদের দেশে এই মুহূর্তে গমের যে পরিমাণ মজুদ আছে আমরা তাতে কোনো ভয়ের আশঙ্কা করি না। আমাদের পর্যাপ্ত গম মজুদ রয়েছে। আমাদের এনাফ গম রয়েছে। ভারতের রপ্তানি বন্ধে কোনো ভাবেই আমাদেরওপর প্রভাব বিস্তার করবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিপদ যখন বাড়ে তখন সবাইকে নিয়েই সে বিপদ মোকাবিলা করতে হয়। দুই আড়াই বছরে রফতানি কম হয়েছে। এর জন্য এখন আমদানি বেড়েছে। যখন আমদানী কম হয়েছে তখন রিজার্ভ বেড়েছে। এখন যে রিজার্ভ আছে তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এরকমই রিজার্ভ থাকে সব সময়। তাই ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। এর সাথে শ্রীলংকার সাথে তুলনা করে কোনো লাভ নেই।
ঢাকা,বুধবার ১৮ মে,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।