আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি থাকলেও অন্যান্য অঞ্চলে তেমন বৃষ্টিপাত নেই। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বেড়েছে তাপমাত্রা। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এই অবস্থা কাটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। এই অবস্থায় বাসায় ফ্যানের বাতাসও তেমন কাজে দিচ্ছে না। আবার মফস্বলে লোডশেডিংও হচ্ছে বেশি। ফলে নাকাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ঈদের মৌসুম কেটে যাওয়ায় ঢাকার সড়কে বেড়েছে যানজট। ফলে বাসার বাইরেও শান্তি মিলছে না রাজধানীবাসীর।বুধবার (১৮ মে) সকালে বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৮৭ শতাংশ। বেলা ১টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ঢাকায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে। আগামী তিনদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হবে। এক্ষেত্রে শনিবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
ঢাকা,বুধবার ১৮ মে,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।