দেশে মাঙ্কিপক্সের কোন রোগী নেই।মাঙ্কিপক্স বিষয়ে যে কোন ধরণের গুজব এবং আতঙ্ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে বিএসএমএমইউ এর মিল্টন হলে মাঙ্কিপক্স বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সের ভাইরাসের দুইটি স্ট্রেইন আছে। কঙ্গো বেসিন স্ট্রেন পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেইনের চেয়ে বেশি মারাত্মক। এই ভাইরাস পশু থেকে প্রাণী এবং পশু থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ংকর মাধ্যম বলে বিবেচিত। গুটিবসন্তের টিকা বন্ধ করা এর একটি কারণ হতে পারে। আফ্রিকাতে ১-১০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুর হার রিপোর্ট করা হয়েছে, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে প্রাদুর্ভাবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, এই রোগ সাধারণত সেল্ফ লিমিটেড। আক্রান্ত বা সন্দেহযুক্ত প্রাণীর সংস্পর্শে যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। প্রাণীর কামড়, আঁচড় এবং লালা বা প্রস্রাবের সংস্পর্শে থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। আর আক্রান্ত রুগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে সকল ক্ষত শুকানো পর্যন্ত আইসোলেশন আর কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা করা আবশ্যক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখনো এই রোগের কোন রুগী ধরা পড়ে নাই। করোনা মহামারিকে আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে যেমনভাবে বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দেই নাই, সেরকমভাবে আমরা মাস্কিপক্স ভাইরাসের জন্যও প্রস্তুত আছি। দেশের মানুষকে যে কোন ধরনের গুজব বা আতংক এড়িয়ে চলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো এই রোগ থেকেও আমরা জাতিকে নিরাপদ রাখতে পারবো।
ঢাকা,মঙ্গলবার ২৪ এপ্রিল,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।