বৃষ্টি-উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে বন্যার ভয়াবহতা বাড়ছে। পানিতে ভাসছে সিলেট-সুনামগঞ্জ।
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার (১৭ জুন) রাত থেকে অবিরাম ভারী বর্ষণে সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া সিলেটের ১৩টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল এবং সুনামগঞ্জের অবস্থা দুর্বিষহ বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে সিলেট নগরীর বেশিরভাগ রাস্তা এবং এলাকাগুলোর বাসা-বাড়িতে পানি উঠে গেছে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মানুষ আশ্রয়ের জন্য দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছেন।
গত পাঁচ দিন ধরে সুনামগঞ্জ, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট জকিগঞ্জ, সিলেট সদর দক্ষিণ সুরমাসহ সবকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎহীন থাকায় সেসব এলাকার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে সিলেটের সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নগরের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ উপ-কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।এদিকে, নেত্রকোণার বারহাট্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন। বন্ধ আছে ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে ট্রেন যোগাযোগ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। ১৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জেলা ও উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। শেরপুরের ঝিনাইগাতীঁতে বন্যার পানিতে নিখোঁজ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা হলেন-বাঘেরভিটা এলাকার বৃদ্ধ আশরাফ আলী ও কালাম নামে এক যুবক। জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ডুবেছে নিম্নাঞ্চল। বন্যার অবনতি হয়েছে উত্তরে। ডুবেছে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসী মানুষ।
সিলেট,শনিবার ১৮ জুন,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।