পুরো সিলেট অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।দুপুর থেকেই বিদ্যুৎহীন।এদিকে বিগত শত বছরের সব রেকর্ড ভেঙেছে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যা হলেও সিলেটে শাহজালাল মাজার গেট ও বাংলাদেশ বেতার সংলগ্ন ভিআইপি রোডে বন্যার পানি হয়নি কখনো। এবার সেসব এলাকাও ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতার সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে পানি প্রবেশ করায় বিকাল ৩টা ৪৩ মিনিট থেকে সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায়ও পানি প্রবেশ করে। আর বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীরা পড়েন বিড়ম্বনায়।
এবারের বন্যা পরিস্থিতি স্মরণকালের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে জানান ভোক্তভুগীরা। এ সব স্থানে এখন কোমর থেকেও বেশি পানি উঠেছে। পানি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে জনজীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীও বলেছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্য ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত থেকেই এক নাগাড়ে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টি না থামায় এবং ভারতের রাজ্যগুলো থেকে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের পাশাপাশি সিলেটের ৮০ শতাংশ জায়গায় তলিয়ে গেছে। ফলে সর্বশেষ আশ্রয় স্থলটাও হারাতে বসছে এসব এলাকায় বসবাসরত মানুষ।
সিলেট,শনিবার ১৮ জুন,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।