নেত্রকোণার দুর্গাপুর, কলমাকান্দায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও অন্য আট উপজেলায় বাড়ছে। আর খালিয়াজুরিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জেলাটির ১০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। এরমধ্যে সোয়া লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে, উজানে পানি কমায় শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মহারশি, ভোগাই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে জেলার দুটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোতে হু হু করে পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চলগুলো দ্রুত প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন এই এলাকার মানুষজন। জামালপুরেও অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির।কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৯টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।পানিতে নিমজ্জিত ১৩ হাজার ৭৭১ হেক্টর ফসলি জমি। এরইমধ্যে ভেসে গেছে চাষের ১১৫ মেট্রিক টন মাছ। এদিকে বন্যার্তদের চিকিৎসা সহায়তায় ৮৫টি মেডিকেল টিম এবং সার্বিক পর্যবেক্ষণে ৯ উপজেলায় ৯টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
নেত্রকোণা,মঙ্গলবার ২১ জুন,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।