পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় দুই পাড়ে চারতলা ভবনবিশিষ্ট দুটি নতুন থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে স্থাপিত ‘পদ্মা সেতু ‘উত্তর’ এবং ‘দক্ষিণ’ থানাসহ কয়েকটি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন তিনি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করে থানা দুটিতে জনবলও পদায়ন করা হয়েছে।সেতুর দুই প্রান্তের প্রবেশমুখে গড়ে তোলা নান্দনিক চারতলা থানা ভবন শুধু যোগাযোগই নয়, সেতু ঘিরে বদলে যাওয়া এলাকার নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দুটি থানা মূলত সেতুর নিরাপত্তা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষের আইনি সহায়তার জন্য কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে স্থাপিত নতুন দুই থানা, গৃহহীন, ভূমিহীন অসহায় মানুষের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, নব নির্মিত ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৬টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ মে সারদা পুলিশ একাডেমিতে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে বলেছিলেন, ‘আপনারা জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায় এদেশের আইন, শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন। ’ আমি দুনিয়ার অনেক জায়গায় গিয়েছি। গ্রেট ব্রিটেনে দেখেছি পুলিশের একজন সিপাহীকেও জনসাধারণ শ্রদ্ধা করে। কোনো পুলিশ দেখলে তারা আশ্রয় নেওয়ার জন্য তার কাছে দৌড়ে যায়। তারা মনে করে পুলিশ তাদের সহায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেও পুলিশ বাহিনী সেভাবেই জনগণের আস্থা অর্জন করবে, যেন জনগণ মনে করে যে তার জীবন-মান রক্ষায় পুলিশই হচ্ছে শেষ ভরসা। কাজেই পুলিশের কাছেই তারা সেই আশ্রয়টা পাবে, সেই ভরসার স্থান হিসেবে জনগণের সামনে পুলিশ সদস্যদের নিজেকে সেভাবে তুলে ধরতে হবে। সেটাই আপনারা করবেন। জাতির পিতার এই নির্দেশ আপনারা মেনে চলবেন সেটাই আমি চাই।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
ঢাকা,মঙ্গলবার ২১ জুন,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।