জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং স্কোরকার্ডে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। তাতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রানের গণ্ডি পেরোয় বাংলাদেশের ইনিংস।জিম্বাবুয়েকে জিততে হলে করতে হবে ৩০৪ রান।
হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৬২) ও লিটন দাস (৮১), ওয়ান ডাউন ব্যাটার এনামুল হক বিজয় (৭৩) এবং চারে নামা মুশফিকুর রহিম (৫২*)।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ সময় সোয়া একটায় শুরু হওয়া ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। খেলতে নেমে সাবধানী শুরু করেন এই দুই ওপেনার। প্রথম ৫ ওভারে আসে মাত্র ১৮ রান। তবে আস্তে আস্তে খোলস থেকে বের হতে থাকেন তারা। ২৪তম ওভারেই আসে দলীয় শতক। এর আগেই নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন তামিম।
এরপর, ২৬তম ওভারে দলীয় ১১৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সিকান্দার রাজার বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ইনোসেন্ট কাইয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। যাওয়ার আগে ৮৮ বলে করেন ৬২ রান।
তামিমের বিদায়ের পরও এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখে ব্যাট করতে থাকেন লিটন। তুলে নেন নিজের অর্ধশতকও। তবে ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে রান নেয়ার সময় চোটে পড়েন লিটন। স্পিনার সিকান্দার রাজার গুড লেন্থের বল ডিপ স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই নন স্ট্রাইক প্রান্তে ছোটেন লিটন। তবে রান সম্পন্ন করতে পারলেও চোটে পড়েন লিটন। ফলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মাঠ ছাড়ার আগের ওভারেই চার-ছক্কার মারে দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন এই ওপেনার। দলীয় ১৭১ রানের সময় ৮৯ বলে ৮১ রান করে মাঠের বাইরে যান লিটন।
এরপর বিজয়ের সাথে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। ২৬৭ রানের মাথায় ৬২ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন বিজয়। এরপর উইকেটে এসেই দুই চারে ঝড়ো ইনিংসে আভাস দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে থাকেন অপরাজিত থাকেন টি-টোয়েন্টির সাবেক এই অধিনায়ক। আরেক প্রান্তে অপরাজিত ৫২ রান মুশফিকের।
ক্রীড়া ডেস্ক,শুক্রবার ০৫ আগষ্ট,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।