নরসিংদীর পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের চাকশাল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেয়ার পথে দুইজন মারা যান। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর উত্তরার ক্রিসেন্ট একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকীবুজ্জামান এ তথ্যে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের চাকশাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় নিহত চারজনই সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির যাত্রী ছিলেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দুজন হলেন- গাজীপুরের টঙ্গীর নিতাই পালের স্ত্রী ঝর্ণা রানী পাল (৫৫) ও লিটন শীলের মেয়ে তনুশ্রী শীল (৯)।
অন্যদিকে ঘটনাস্থলে নিহত হন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে আমির হামজা (৩৫) ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের কামারচর এলাকার একাব্বর মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় , ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস সিলেটের দিকে যাচ্ছিল। এদিকে পলাশের ঘোড়াশাল থেকে এক শিশু ও তিন নারীসহ ৬ যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা পাঁচদোনার দিকে যাচ্ছিল। আঞ্চলিক সড়কটির চাকশাল এলাকায় পৌঁছানোর পর বাসটি অটোরিকশাটিকে চাপায় দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই আমির হামজা নামে একজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে অটোরিকশাচালক মজিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।খবর পেয়ে মাধবদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত শিশু ও তিন নারীসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ৪ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হলে উত্তরা ক্রিসেন্ট বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঝর্ণা ও তনুশ্রীর মৃত্যু হয়।
নরসিংদীর মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকীবুজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনায় এক শিশু ও এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
নরসিংদী,বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।