কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে আমাকে তথ্য দেন, আমি ব্যবস্থা নেব। (দুর্নীতির কথা) শুধু মুখে মুখে বললে তো হবে না। এখন এমন এমন লোকজনের কাছ থেকে আমাকে শুনতে হচ্ছে যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্থ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার (১৪ জানুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ, কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার মুলতবি সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে অহেতুক দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে। যারা এসব বলে বেড়াচ্ছে, তারাই চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ। শুধু মুখে বললে হবে না, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে।’
যাদের আমলে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অথবা কেউ বলতে গেলে ওই ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা করতে যেয়ে গরিব মানুষের উপর এমন চাপ যে সুদ দিতে দিতে তাদের অনেক সময় বাড়িঘর ছেড়ে এলাকা থেকে চলে যেতে হয়েছে অথবা আত্মহত্যা করতে হয়েছে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গরীব মানুষের টাকা দিয়েই কিন্তু দেশে নাম-টাম করে কিন্তু বেশ ভালোই আছে এবং প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগও করে ফেলেছেন এই টাকাগুলো কোথা থেকে এগুলো গরীবের রক্তচোষা টাকা তো এটাতো বাস্তব কথা। ’
বিগত সময়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা যা যা চেয়েছিলেন আমরা সেগুলো কিন্তু একে একে করে দিচ্ছি মানুষকে। তার যে স্বপ্নটা সেটাই বাস্তবায়ন করা আমাদের লক্ষ্য। এত কাজ করার পরেও কিছু লোক আছে তাদের কোন কিছু ভালো লাগে না। ’
‘নির্বাচনী ওয়াদা ভোলে না আওয়ামী লীগ’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১৪ বছরে দেশের পরিবর্তন ও উন্নতি স্বীকার না করে, দুর্নাম রটিয়ে বেড়ায় অনেকেই। আওয়ামী লীগ মানুষকে যে ওয়াদা দেয়, সেই ওয়াদা রক্ষা করা হয়৷।’
প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেই, মানুষ সেসবের সুফল পাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ছাড়া আর কোনো সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে কি-না, তা জানা নেই আমার।’শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যে স্বনির্ভরতার পথ দেখিয়েছিলেন, সেই পথেই হাঁটছে বর্তমান সরকার।
ঢাকা,শনিবার ১৪ জানুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।