শিল্পখাতে আরেক দফায় বাড়লো গ্যাসের দাম। কারখানাভেদে প্রতি ইউনিটে গুণতে হবে ১৪ টাকা থেকে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। তবে চা শিল্পের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের জন্য সবচেয়ে কম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা দিতে হবে।বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, সিএনজি ও আবাসিকের ক্ষেত্রে আগের দামই বহাল রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভুর্তকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভোক্তা পর্যায়ের মূল্যহার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে প্রায় তিনগুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
মাঝারি শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে আগের দাম প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা রাখা হয়েছে। চা বাগানের ক্ষেত্রেও না বাড়িয়ে আগের দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা টাকা রাখা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।
হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
তবে পরিবহন খাতে সিএনজি ও আবাসিকে আগের দামেই বহাল রেখেছে সরকার। সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারের দাম ৪৩ টাকা। সুতরাং গ্যাসের দাম বাড়ায় পরিবহন খাতে প্রভাব পড়বে না।
এ ছাড়া গৃহস্থালির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার মিটারভিত্তিক বার্নারের ১৮ টাকা, মিটারবিহীন সিঙ্গেল বার্নার (টাকা/মাস) ৯৯০ টাকা এবং মিটারবিহীন ডাবল বার্নার (টাকা/মাস) ১ হাজার ৮০ টাকা।
ঢাকা,বুধবার ১৮ জানুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।