রাজধানীতে মাস্টার চাবি দিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে চুরি করা হয় মোটরসাইকেল। চুরি করা দামী মোটরসাইকেল পদ্মার দুর্গম চরে নিয়ে বিক্রি করা হয় মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।সম্প্রতি চক্রটির মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তাদের গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ১০টি মোটরসাইকেল।
রোববার (২২ জানুয়ারি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গত ২২ সেপ্টেম্বরে দুপুরে আজিমপুর কবরস্থানের সামনে মোটরসাইকেল রেখে শ্বশুরকে দাফন করতে যান আবু সালাম নামের এক ব্যক্তি। ফিরে এসে আর পাননি মোটরসাইকেল। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন লালবাগ থানায়।
এ ঘটনায় কবরস্থানের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চক্রের মূলহোতা রাজিব ও তার সহকারী রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজবাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয় সালামের মোটরসাইকেল। পরে চুরি ও বেচাকেনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।মো. জাফর হোসেন বলেন, আসামিরা জানিয়েছে, তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন মোটরসাইকেল চুরি করে সেগুলো ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য তাদের একটি চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী চক্র রয়েছে।
গ্রেফতারের বিষয়ে জাফর হোসেন বলেন, চক্রের মূলহোতা রাজিবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে জড়িত দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলু ওরফে নয়ন, বিপুল শেখ, জাহিদুল ইসলাম ও আরিফ খান নামে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ৯টি মোটরসাইকেল।
চুরির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা ঢাকার জনবহুল এলাকায় ঘুরে ঘুরে অতিরিক্ত লক না থাকা বা দুর্বল লক থাকা এসব মোটরসাইকেল ‘মাস্টার কি’ দিয়ে মুহূর্তে খুলে স্টার্ট দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ৩০-৫০ হাজার টাকায় সেগুলো চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়কারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেসব মোটরসাইকেল আবার ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো।
পুলিশ বলছে, জব্দ হওয়া ১০টি মোটরসাইকেলের তথ্য ডিএমপির ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড পেজে’ দেয়া হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে মোটরসাইকেল নিতে পারবেন প্রকৃত মালিকরা।
ঢাকা,রোববার ২২ জানুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।