আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চা করে; এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি কবে বিএনপির মহাসচিব হয়েছেন মনে আছে? যে রাজনৈতিক দল নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্রের চর্চা করে না, তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এটি একটি উদ্ভট কথা।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ দুই মাসে মিটিং করে। প্রয়োজনে আমরা যৌথসভা করি, সহযোগী সংগঠনসহ। আগামীকালও যৌথসভা রয়েছে। এর মধ্যে আমরা তিনটা সম্মেলন করে ফেলেছি। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সবগুলো সম্মেলন করেছি।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেরা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র নেই। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয়ভাবেও কোনো সম্মেলন হয় না, মিটিং হয় না। দেশে তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, উদ্ভট কথা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিদিন কর্মসূচি দেবে। বিএনপিকে কী খালি মাঠ দেবো পরিবহন পোড়াতে? তাদেরকে কী রেলস্টেশন পোড়াতে দেবো, সবুজ গাছগুলো কেটে ফেলতে দেবো? এ সুযোগ আমরা দেবো না।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ভোটচুরির জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানাননি। নিজ দলের কাউকে নির্বাচন কমিশনার বানাননি। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে ইলেকশন কমিশন বানাননি। আইনের মাধ্যমেই ইলেকশন কমিশন গঠিত হয়েছে। ২০০৮ সালে বিএনপি বলেছিলো, আওয়ামী লীগ ৩০ সিটই পাবে না, উল্টো বিএনপি ২৯ সিট পেলো। পরে সংরক্ষিত মিলে ৩২ সিট। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে বলেন, পকেট কমিটিতে পদ দেওয়ার পরে, পদ না থাকলে সালামও দেবে না। তাই মুখের দিকে চেয়ে নেতা বানাবেন না। কমিটিগুলো করে ফেলুন প্লিজ।
ঢাকা,বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।