উৎপাদন বাড়াতে কৃষি খাতে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) ভারত-বাংলাদেশ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সামিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিতে অনুন্নত সরঞ্জাম ও আধুনিক পদ্ধতির অভাবে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না। এতে অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন কৃষকরা।এ পরিস্থিতিতে কৃষিতে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করে দেয়ার বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, এ জন্য বিশ্বে দ্বিতীয় কৃষি উৎপাদনকারী দেশ ভারতের সাহায্য নেবে বাংলাদেশ।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতার যুগান্তকারী উদ্যোগে ৪০ হাজার বিদ্যুৎ চালিত পাম্প, ২৯০০ গভীর নলকূপ ও তিন হাজার যান্ত্রিক টিউবওয়েল কৃষকদের বিতরণ করা হয় খুবই কম মূল্যে। এটা ছিল আধুনিক কৃষির শুরু। আমরা বলি, সেটাই ছিল বাংলাদেশে আধুনিক কৃষির শুরু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের স্বল্পতা আছে। বিশেষ করে চাষের সময়ে এটা আরও প্রবল হয়। বাংলাদেশ প্রকৃতিগতভাবেই দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তাই উৎপাদন ঠিক রাখতে হাওরের ৭০ শতাংশ এলাকায় কৃষিতে আমরা ভর্তুকি দিয়েছি। আর, উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য আমাদের আধুনিক ও কৃষির যান্ত্রিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় অংশীদার বাংলাদেশ। এ দেশের কৃষিখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করবে ভারত। এছাড়া ভারতীয় কৃষিযন্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে কারখানা খুলবে বলেও জানান তিনি।
বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।এছাড়া উন্নত ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে দুই দেশ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে নিজেদের যাত্রা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
ঢাকা,শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।