‘বর্তমান সরকার থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডায় সুবাস্তু নজর ভ্যালির সামনে পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন করার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা এক নতুন আন্দোলন শুরু করলাম। ঢাকা শহরে নীরব প্রতিবাদের ও নীরব যাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দানবীয় সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করবো।
তিনি বলেন, আজকে চালের দাম বেড়ে গেছে, ডালের দাম বেড়ে গেছে, ডিমের দাম বেড়ে গেছে, তেলের দাম বেড়েছে, লবণের দাম বেড়েছে। আমার রিকশাচালক ভাইয়েরা, শ্রমিক ভাইয়েরা জীবনযাপন করতে পারছে না। তারা চাল-ডাল-তেল-লবণ কিনতে পারছে না। আজকে কথা বলতে গেলে ও প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে আটক করে রাখা হচ্ছে। আজকে সমগ্র বাংলাদেশকে এরা কারাগারে পরিণত হয়েছে। আমরা কী এটা মেনে নেবো?
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভোটের অধিকার কী আছে? নাই। সেই ভোটের অধিকার আমাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদেরকে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যিনি এই দেশের মানুষের জন্য সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। এখনও তিনি গৃহবন্দি হয়েছে আছেন, তাকে মুক্ত করার জন্য, আমাদের নেতা তারেক রহমান তিনি আজকে মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সুদূরে নির্বাসিত হয়েছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের ৩৫লাখ মানুষের বিরুদ্ধে নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যারা কারাগারে আছেন তাদের মুক্ত করতে হবে। দেশে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার থাকলে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই কারণে এই আওয়ামী লীগের সরকারকে (হাসিনা সরকার) পদত্যাগ করতে হবে। সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ তার ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে, সরকার নির্বাচন করবে সেই সরকার দেশ পরিচালনা করবে। তাই আসুন আজকে এই পদযাত্রার মধ্য দিয়ে সরকারকে বলতে চাই, আর কালবিলম্ব নয়, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন এবং নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিন। অন্যথায় আপনাদেরকে অত্যন্ত ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে। আপনারা পালাবার পথ পাবেন না।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নীরব, মহানগর বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, মুনসী বজলুল বাছিত আনজু, আবদুল আলীম নকি, মীর নেওয়াজ আলী, শামসুল হক, এবিএমএ রাজ্জাক, তহিরুল ইসলাম তুহিন, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, বাবুল আক্তার, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, যুবদলের মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজিব আহসান প্রমুখ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পর বেলা পৌনে তিনটার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়। এটি বাড্ডা-রামপুরা হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
ঢাকা,শনিবার ২৮ জানুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।