আওয়ামী লীগ কোনো বিলাসী রাজনীতি করে না, পকেটের রাজনীতি করে বিএনপি, শেখ হাসিনার সরকার জনকল্যাণে রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।এ সময় তিনি আরো বলেন ,বিএনপি যে গণআন্দোলনের সূচনা করেছে, সেই আন্দোলনে যখন ভাটার টানে ম্রিয়মান হয়ে পড়ে, তখন তারা আসলে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে যায় এবং আবোল-তাবোল বকে।শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছিলেন আওয়ামী লীগ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ কোনো বিলাসী রাজনীতি করে না, পকেটের রাজনীতি করে বিএনপি, শেখ হাসিনার সরকার জনকল্যাণে রাজনীতি করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতার ছিল, সে সময় তারা বিলাসী জীবন-যাপন করেছে, এখনও তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে পলাতক অবস্থায় আয়েশি জীবনযাপন করছেন। সেখানে তাদের আয়েশি জীবন-যাপনের কথা আওয়ামী লীগকে বলা শোভা পায় না। তারা নিজেদের পকেটের উন্নয়নের রাজনীতি করেন এবং শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করেন। কে কি বলল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা যা করছি মানুষের জন্য করছি। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য করছি। যারা লুটপাট করেছে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে আজ তারা ক্ষমতায় নেই।
বেগম জিয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি এখন যেখানে আছেন সেটাই হচ্ছে আদালতের এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উদারতা, মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছেন এবং তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন। এর অর্থ এই নয় যে তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা বলে এটা তার মহানুভবতা। শারীরিক কারণে, মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন তিনি ইলেকশন করবেন, কী রাজনীতি করবেন সেটা আদালতের জাজমেন্টের ওপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন নাকি আওয়ামী লীগের নির্দেশনা ছাড়া হবে না। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। সব জায়গায় রাজনীতি প্রযোজ্য নয়, প্রতিটি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব থাকা উচিত নয়।অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. নিজামুল হক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ সামাদসহ আরো অনেকে।
ঢাকা,শুক্রবার ১০ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।