করোনা ভাইরাস লাইভ

বাংলাদেশে

নতুন আক্রান্ত মোট আক্রান্ত সুস্থ মৃত্যু
২০,৩৮,০১৪ ২০,০৬,৮২১ ২৯,৪৪৬

আগামী বছর ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক অর্জনের বিষয়ে আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী

গত এক দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের অবিস্মরণীয় অগ্রযাত্রার সাক্ষী আওয়ামী লীগ সরকার,আগামী বছর ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক অর্জনের বিষয়ে আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ও এডিবির অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর আমরা দেড় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছি বলে আশা করছি। বর্তমানে জিডিপির আকারে বাংলাদেশ ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জনের সময়, আমরা তার মধ্যে ২৮তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো বলে আশা রাখি। ২০৩৬ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে এটাও আমাদের প্রত্যাশা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য একে একে আমরা অর্জন করছি; দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাতৃ মৃত্যু-শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, স্বাক্ষরতার হার ও গড় আয়ু বৃদ্ধি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, লিঙ্গ সমতা অর্জনে বাংলাদেশ অসামান্য অর্জন করেছে। এত অল্প সময়ে, মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে আমরা এই অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই ভূ-রাজনৈতিক সংকটের শিকার হলেও এর জন্য বাংলাদেশ—আমরা কিন্তু মোটেই দায়ী নই। বরং আমাদের কষ্টার্জিত অর্জনগুলো নস্যাৎ করছে এবং আমাদের একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধানও দেখতে পাচ্ছি না। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে না। সারা বিশ্বব্যাপী এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো আরও কষ্ট পাচ্ছে। বেশির ভাগ দেশে খাদ্য ঘাটতি, জ্বালানি ও আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। যার ফলে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবক্ষয় এবং মূদ্রাস্ফীতি আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

উন্নয়ন অংশীদারদের সুদের হার না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হলো, এগুলো বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের দরিদ্রতম অংশকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করছে। এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে আমরা হঠাৎ করে লক্ষ্য করছি যে, অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা বেশির ভাগ প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন অর্থায়নকে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর করে তুলেছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে না আসা পর্যন্ত সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশগুলোকে এই বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের নজর আমরা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারো কাছে কোনো করুণা চাই না, দয়া ভিক্ষা চাই না। আমরা ন্যায্য অধিকার চাই। বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অংশীদার হিসেবে আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যাই দাবি করছি।এ সময় দেশের আর্থিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান। একইসাথে সংকটকালীন সময়ে ঋণদাতা সংস্থাকে সহজ শর্তে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
ঢাকা,মঙ্গলবার ১৪ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

 

সর্বশেষ আপডেট



» সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৮ বাংলাদেশি নিহত

» সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনা ১৮ বাংলাদেশি হাসপাতালে

» চুয়েটে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে হুয়াওয়ে

» রমজানে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা

» নতুন করে আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত,একজনের মৃত্যু হয়েছে।

» গাজীপুরের শ্রীপুরে বহেরার চালা এলাকায় একটি কারখানায় আগুন

» ২০২২-২৩ চবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ৩০ মার্চ যা চলবে ১২ এপ্রিল

» নরসিংদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার

» খিলগাঁও ফ্লাইওভারে চালককে ছুরিকাঘাত করে রিকশা ছিনতাই দুই ছিনতাইকারীকে আটক

» রাজধানীর বাড্ডায় পোস্ট অফিস গলির মুখে একটি ভবনের নীচ তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন

 

 

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান


সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
আজ মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

আগামী বছর ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক অর্জনের বিষয়ে আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী




গত এক দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের অবিস্মরণীয় অগ্রযাত্রার সাক্ষী আওয়ামী লীগ সরকার,আগামী বছর ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক অর্জনের বিষয়ে আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ও এডিবির অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর আমরা দেড় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছি বলে আশা করছি। বর্তমানে জিডিপির আকারে বাংলাদেশ ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জনের সময়, আমরা তার মধ্যে ২৮তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো বলে আশা রাখি। ২০৩৬ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে এটাও আমাদের প্রত্যাশা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য একে একে আমরা অর্জন করছি; দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাতৃ মৃত্যু-শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, স্বাক্ষরতার হার ও গড় আয়ু বৃদ্ধি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, লিঙ্গ সমতা অর্জনে বাংলাদেশ অসামান্য অর্জন করেছে। এত অল্প সময়ে, মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে আমরা এই অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই ভূ-রাজনৈতিক সংকটের শিকার হলেও এর জন্য বাংলাদেশ—আমরা কিন্তু মোটেই দায়ী নই। বরং আমাদের কষ্টার্জিত অর্জনগুলো নস্যাৎ করছে এবং আমাদের একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধানও দেখতে পাচ্ছি না। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে না। সারা বিশ্বব্যাপী এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো আরও কষ্ট পাচ্ছে। বেশির ভাগ দেশে খাদ্য ঘাটতি, জ্বালানি ও আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। যার ফলে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবক্ষয় এবং মূদ্রাস্ফীতি আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

উন্নয়ন অংশীদারদের সুদের হার না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হলো, এগুলো বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের দরিদ্রতম অংশকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করছে। এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে আমরা হঠাৎ করে লক্ষ্য করছি যে, অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা বেশির ভাগ প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন অর্থায়নকে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর করে তুলেছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে না আসা পর্যন্ত সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশগুলোকে এই বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের নজর আমরা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারো কাছে কোনো করুণা চাই না, দয়া ভিক্ষা চাই না। আমরা ন্যায্য অধিকার চাই। বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অংশীদার হিসেবে আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যাই দাবি করছি।এ সময় দেশের আর্থিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান। একইসাথে সংকটকালীন সময়ে ঋণদাতা সংস্থাকে সহজ শর্তে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
ঢাকা,মঙ্গলবার ১৪ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান


সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা লিংকরোড ঢাকা-১২১২ | ব্রাঞ্চ অফিস: ২৪৭ পশ্চিম মনিপুর, ২য় তলা, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com