করোনা ভাইরাস লাইভ

বাংলাদেশে

নতুন আক্রান্ত মোট আক্রান্ত সুস্থ মৃত্যু
২০,৩৮,০১৪ ২০,০৬,৮২১ ২৯,৪৪৬

রমজান মাসে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে-প্রধানমন্ত্রী

রমজান মাসে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ সময় কেউ যেনো মজুদদারি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কালোবাজারি যাতে না হয় লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ আর ভোট চুরির নজির গড়েছে বিএনপিই। আওয়ামী লীগ যোগাযোগ, কৃষি, প্রযুক্তি ও শিক্ষাসহ নানা খাতে উন্নয়ন করেছে। খুনি, দুর্নীতিবাজ আর এতিমের টাকা পাচারকারীরা আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতেন নিজের কথা না ভেবেই। ১৯৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পায়। এমন একটা সময় বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছিল যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে এটাও স্বীকার করতে ভয় পেতো অনেকেই। এই চক্রান্তের সাথে জড়িত ছিল জেনারেল জিয়া। তাদের ধারণা ছিল বাংলাদেশে আর কখনো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আসবে না। তাদের এই ধারণা এখন ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় পাঁচ পাঁচ বার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চাম্পিয়ন হয়। দুর্নীতিই তাদের নীতি এবং লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ একটা ধ্বংস স্তুপে মধ্যে নিয়ে আসে। আবারও ভোট চুরি করে ১ কোটি ২৩ লাখ ভোয়া ভোট করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলো কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। যার ফলে আন্দোলন এবং এর পরে জরুরি অবস্থা এদের অপকর্মের কারণেই। এর দুই বছর পর নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় আসি। ২৯ বছর তো ওই শক্তিগুলোই ক্ষমতায় ছিলো কি দিয়েছে তারা। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই এদেশের উন্নতি হয়। আজ বিএনপির নেতারা একটানা বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে দেশটাকে নাকি আমরা ফোকলা বানিয়ে দিয়েছি, দেশটা নাকি শেষ করে দিয়েছি। দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন কথাটা হচ্ছে চোখ থাকতে কেউ অন্ধ হলে তাকে কিছু দেখানো যায় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। সমগ্র বাংলাদেশে ওযাইফাই কানেকশন, ইন্টারনেট ব্যাবহার করছে। প্রায় ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ১৩ কোটি মোবইল সিম ব্যবহার করে। এই সুযোগটা তারা ব্যবহার করছে, কিছুই করি নাই। আমাদের দেওয়া বেসরকারি টেলিভিশন সেটাও ব্যবহার করছে। আমাদের দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেটাও ব্যবহার করছে। আর তারপরেও বলছে আমরা কিছুই করি নাই।আালোচনা সভায় শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলবো আমরা যে মানুষের জন্য কাজ করি এটা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে। কারণ তাদের এই মিথ্যা, একটা মিথ্যা বার বার বলে বলে সেই মিথ্যাটাকেই তারা সত্য করতে চায়। কিন্তু তাদের কাছে মানুষ কি পেয়েছে, খাবারের জন্য হাহাকার। বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে মানুষ মারা গিয়েছে। কানসাটে ১০ জনের মতো মানুষ মেরে ফেলে দিয়েছে। শ্রমিক ন্যায্য মজুরি চেয়েছিলো বলে ২৭ জন শ্রমিককে রমজান মাসে গুলি করে হত্যা করেছিলো খালেদা জিয়া। ১৮ জন কৃষক সার চেয়েছিলো বলে হত্যা করেছিলো। তাদের তো এই রেকর্ড, তারা এই কাজগুলোই করে গেছে। আর আজকে কারও সারও চাইতে হয় না, বিদ্যুৎ আমরা পৌঁছে দিয়েছি। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সুপেয় পানি সুবিধা, স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা, চিকিৎসা সেবা, কনিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ আমরা দিচ্ছি। এখন আমরা সেখানে ইনসুলিনও বিনা পয়সায় দিয়ে যাবো, সে কাজটা আমরা শুরু করে দিয়েছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করার আওয়ামী লীগ সেটাই করে। আর মানুষ ভালো থাকলে ওই বিএনপি-জামাতিদের মনে কষ্ট হয়- আমার যা মনে হয়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর তিনি এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, তার বাংলাদেশে কোনো মানুষ অন্ন কষ্ট পাবে না, গৃহহীন থাকবে না। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কিভাবে উন্নত করবো যেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। শিক্ষা-দীক্ষায় প্রযুক্তি জ্ঞানে একটি স্মার্ট জনগোষ্ঠি সৃষ্টি হবে এবং এই দেশে এগিয়ে যাবে। হাজার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এই বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারি, ১০ ট্রক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ পাচারকারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারি এরা কোনো দিনও এদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ কখনও তাদের মেনে নেবে না। বাংলাদেশ জাতির পিতা শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ যেভাবে তিনি চেয়েছিলেন সেভাবেই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বাঙালি চলবে, বাংলাদেশ তার সম্মান নিয়ে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে দেশের মানুষের কল্যাণে।

বিএনপির সময়কার দুর্নীতি লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আসলো ক্ষমতায়। টঙ্গীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা নির্মাণ শুরু করেছিলাম, এসেই ওখানে থাবা দিলো কমিশন আর চাঁদা খাওয়া। ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্র আর কেউ স্বচ্ছভাবে করতে পারলো না। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করে ফিরতে পারিনি তা বন্ধ হয়ে গেলো। লুটপাট কি হারে করেছে তারা। রাস্তাঘাট যা যেখানে করতে গেছে সব জায়গায় লুটপাট। সব জায়গায় কমিশন খাওয়া, ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতি করা, যত কাজ আমরা করে যাচ্ছিলাম, যতকিছু উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। সব কিছু উদ্বোধন করে যেতে পারিনি, আমাদের করা জিনিস উদ্বোধন করে নিজেরা ক্রেডিট নিয়েছে। এ সময় তিনি পদ্মাসেতু নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তির পর বিএনপির সমালোচনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওদের চরিত্রটাই হচ্ছে যত কাজ করবেন সেগুলোকে মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা। ভাঙা রেকর্ড আগের কলের গান ছিলো রেকর্ড যদি ভেঙে যেতো একটা কথা বার বার ওখানেই বাজতে থাকতো। ভাঙা রেকর্ডের মতো বলে যাচ্ছে এ সরকার কিচ্ছু করেনি। এই যে এতো রাস্তাঘাট। এতো উন্নয়ন, আজকে খাদ্যের অভাব নেই। ১২ মাস সব কিছু খেতে পারছেন। এসব তো আমরা গবেষণা করে উদ্যোগ নিয়েই করে দিয়েছি। সেগুলো খেতে খুব ভালো লাগে, কিন্তু বদনামটা করার সময় গাল ভরে যায়। খেয়েদেয়ে নাদুস-নুদুস হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেই যাচ্ছে। আমি জানি না এতো মিথ্যা কথা কোথা থেকে আসে তাদের।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, রমজান মাসে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ সময় কেউ যেনো মজুদদারি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কালোবাজারি যাতে না হয় লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা,রোববার ১৯ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

সর্বশেষ আপডেট



» মাধবদীতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ব্লেড দিয়ে হাত কেটে মহিলা শ্রমীকের টাকা ছিনতাই।

» সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৮ বাংলাদেশি নিহত

» সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনা ১৮ বাংলাদেশি হাসপাতালে

» চুয়েটে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে হুয়াওয়ে

» রমজানে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা

» নতুন করে আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত,একজনের মৃত্যু হয়েছে।

» গাজীপুরের শ্রীপুরে বহেরার চালা এলাকায় একটি কারখানায় আগুন

» ২০২২-২৩ চবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ৩০ মার্চ যা চলবে ১২ এপ্রিল

» নরসিংদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার

» খিলগাঁও ফ্লাইওভারে চালককে ছুরিকাঘাত করে রিকশা ছিনতাই দুই ছিনতাইকারীকে আটক

লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন

 

 

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান


সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
আজ বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

রমজান মাসে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে-প্রধানমন্ত্রী




রমজান মাসে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ সময় কেউ যেনো মজুদদারি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কালোবাজারি যাতে না হয় লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ আর ভোট চুরির নজির গড়েছে বিএনপিই। আওয়ামী লীগ যোগাযোগ, কৃষি, প্রযুক্তি ও শিক্ষাসহ নানা খাতে উন্নয়ন করেছে। খুনি, দুর্নীতিবাজ আর এতিমের টাকা পাচারকারীরা আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতেন নিজের কথা না ভেবেই। ১৯৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পায়। এমন একটা সময় বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছিল যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে এটাও স্বীকার করতে ভয় পেতো অনেকেই। এই চক্রান্তের সাথে জড়িত ছিল জেনারেল জিয়া। তাদের ধারণা ছিল বাংলাদেশে আর কখনো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আসবে না। তাদের এই ধারণা এখন ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় পাঁচ পাঁচ বার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চাম্পিয়ন হয়। দুর্নীতিই তাদের নীতি এবং লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ একটা ধ্বংস স্তুপে মধ্যে নিয়ে আসে। আবারও ভোট চুরি করে ১ কোটি ২৩ লাখ ভোয়া ভোট করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলো কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। যার ফলে আন্দোলন এবং এর পরে জরুরি অবস্থা এদের অপকর্মের কারণেই। এর দুই বছর পর নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় আসি। ২৯ বছর তো ওই শক্তিগুলোই ক্ষমতায় ছিলো কি দিয়েছে তারা। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই এদেশের উন্নতি হয়। আজ বিএনপির নেতারা একটানা বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে দেশটাকে নাকি আমরা ফোকলা বানিয়ে দিয়েছি, দেশটা নাকি শেষ করে দিয়েছি। দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন কথাটা হচ্ছে চোখ থাকতে কেউ অন্ধ হলে তাকে কিছু দেখানো যায় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। সমগ্র বাংলাদেশে ওযাইফাই কানেকশন, ইন্টারনেট ব্যাবহার করছে। প্রায় ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ১৩ কোটি মোবইল সিম ব্যবহার করে। এই সুযোগটা তারা ব্যবহার করছে, কিছুই করি নাই। আমাদের দেওয়া বেসরকারি টেলিভিশন সেটাও ব্যবহার করছে। আমাদের দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেটাও ব্যবহার করছে। আর তারপরেও বলছে আমরা কিছুই করি নাই।আালোচনা সভায় শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলবো আমরা যে মানুষের জন্য কাজ করি এটা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে। কারণ তাদের এই মিথ্যা, একটা মিথ্যা বার বার বলে বলে সেই মিথ্যাটাকেই তারা সত্য করতে চায়। কিন্তু তাদের কাছে মানুষ কি পেয়েছে, খাবারের জন্য হাহাকার। বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে মানুষ মারা গিয়েছে। কানসাটে ১০ জনের মতো মানুষ মেরে ফেলে দিয়েছে। শ্রমিক ন্যায্য মজুরি চেয়েছিলো বলে ২৭ জন শ্রমিককে রমজান মাসে গুলি করে হত্যা করেছিলো খালেদা জিয়া। ১৮ জন কৃষক সার চেয়েছিলো বলে হত্যা করেছিলো। তাদের তো এই রেকর্ড, তারা এই কাজগুলোই করে গেছে। আর আজকে কারও সারও চাইতে হয় না, বিদ্যুৎ আমরা পৌঁছে দিয়েছি। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সুপেয় পানি সুবিধা, স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা, চিকিৎসা সেবা, কনিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ আমরা দিচ্ছি। এখন আমরা সেখানে ইনসুলিনও বিনা পয়সায় দিয়ে যাবো, সে কাজটা আমরা শুরু করে দিয়েছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করার আওয়ামী লীগ সেটাই করে। আর মানুষ ভালো থাকলে ওই বিএনপি-জামাতিদের মনে কষ্ট হয়- আমার যা মনে হয়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর তিনি এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, তার বাংলাদেশে কোনো মানুষ অন্ন কষ্ট পাবে না, গৃহহীন থাকবে না। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কিভাবে উন্নত করবো যেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। শিক্ষা-দীক্ষায় প্রযুক্তি জ্ঞানে একটি স্মার্ট জনগোষ্ঠি সৃষ্টি হবে এবং এই দেশে এগিয়ে যাবে। হাজার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এই বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারি, ১০ ট্রক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ পাচারকারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারি এরা কোনো দিনও এদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ কখনও তাদের মেনে নেবে না। বাংলাদেশ জাতির পিতা শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ যেভাবে তিনি চেয়েছিলেন সেভাবেই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বাঙালি চলবে, বাংলাদেশ তার সম্মান নিয়ে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে দেশের মানুষের কল্যাণে।

বিএনপির সময়কার দুর্নীতি লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আসলো ক্ষমতায়। টঙ্গীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা নির্মাণ শুরু করেছিলাম, এসেই ওখানে থাবা দিলো কমিশন আর চাঁদা খাওয়া। ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্র আর কেউ স্বচ্ছভাবে করতে পারলো না। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করে ফিরতে পারিনি তা বন্ধ হয়ে গেলো। লুটপাট কি হারে করেছে তারা। রাস্তাঘাট যা যেখানে করতে গেছে সব জায়গায় লুটপাট। সব জায়গায় কমিশন খাওয়া, ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতি করা, যত কাজ আমরা করে যাচ্ছিলাম, যতকিছু উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। সব কিছু উদ্বোধন করে যেতে পারিনি, আমাদের করা জিনিস উদ্বোধন করে নিজেরা ক্রেডিট নিয়েছে। এ সময় তিনি পদ্মাসেতু নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তির পর বিএনপির সমালোচনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওদের চরিত্রটাই হচ্ছে যত কাজ করবেন সেগুলোকে মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা। ভাঙা রেকর্ড আগের কলের গান ছিলো রেকর্ড যদি ভেঙে যেতো একটা কথা বার বার ওখানেই বাজতে থাকতো। ভাঙা রেকর্ডের মতো বলে যাচ্ছে এ সরকার কিচ্ছু করেনি। এই যে এতো রাস্তাঘাট। এতো উন্নয়ন, আজকে খাদ্যের অভাব নেই। ১২ মাস সব কিছু খেতে পারছেন। এসব তো আমরা গবেষণা করে উদ্যোগ নিয়েই করে দিয়েছি। সেগুলো খেতে খুব ভালো লাগে, কিন্তু বদনামটা করার সময় গাল ভরে যায়। খেয়েদেয়ে নাদুস-নুদুস হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেই যাচ্ছে। আমি জানি না এতো মিথ্যা কথা কোথা থেকে আসে তাদের।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, রমজান মাসে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ সময় কেউ যেনো মজুদদারি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কালোবাজারি যাতে না হয় লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা,রোববার ১৯ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান


সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা লিংকরোড ঢাকা-১২১২ | ব্রাঞ্চ অফিস: ২৪৭ পশ্চিম মনিপুর, ২য় তলা, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com