সরকার নির্ধারিত নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের জানাতে প্রথমবারের মতো ১১টি বাজারে ডিজিটাল ডিসপ্লে লাগানো হয়েছে। দোকানি যে দামেই পণ্য কিনুক না কেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে হবে। নয়তো দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে আসন্ন রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য তালিকা প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সাতটি বাজারের ডিজিটাল ডিসপ্লে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি বার্তা দেন মেয়র আতিক।
সে জায়গা থেকে দোকানি ও বিক্রেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বলেছেন, দোকানি যে দামেই পণ্য কিনুক না কেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে হবে। নয়তো দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪২টি মার্কেটের মধ্যে এগারটির সামনে নিত্য পণ্যের মূল্য তালিকা ডিসপ্লে দেওয়া থাকবে। এ ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্রেতাদের জানানো হবে বাজারে কি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। তাই দোকানিকে নির্ধারিত দামেই পণ্য বিক্রি করতে হবে। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম বিভিন্ন সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে বিভিন্ন বাজারে নিয়মিত পরিদর্শন করবেন।
মেয়র বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিদিন বিকাল তিনটায় বাজারের মূল্য তালিকা দেওয়া হবে। এ তালিকার ভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশনের ১১টি মার্কেটের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে মূল্য তালিকা উঠে যাবে। ফলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে সিটি কর্পোরেশন যে দাম দিয়েছে তা থেকে বেশি দামে দোকানিরা বিক্রি করছে কিনা। এর মাধ্যমে সাধারণ ক্রেতারা ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম বেশি রাখলে কোনো ভোক্তা চাইলে ডিজিটাল বোর্ডে দেওয়া কিউআরকোডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। আর ক্রেতা অভিযোগ জানানোর পর দ্রুততার সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রোজা উপলক্ষে সরকার বেশকিছু পণ্যের দাম ফিক্সড করে দিয়েছে। খোলা সাদা চিনি কেজি ১০৭; প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়। খোলা সয়াবিন তেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৭; খোলা পাম সুপার তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৭ টাকায়। এক লিটারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। পাঁচ লিটারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০৬ টাকায়। এ দামের বাইরে কেউ যদি বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এসব পণ্যের দাম যখন কমে যাবে তখন ডিজিটাল বোর্ডের দাম সমন্বয় করা হবে।
ঢাকা,বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।